৩৭ বিদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব

রাজধানীর উত্তরা থেকে ভিওআইপি সরঞ্জামসহ আটক ৩৭ বিদেশির মধ্যে ১৫ জনের পাসপোর্টই জাল। অন্যের ছবিসংবলিত পাসপোর্ট নিয়ে তাঁরা বাংলাদেশে আসেন। আটক হওয়া সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‌্যাব। গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
গত রোববার রাতে র্যাবের একটি দল রাজধানীর উত্তরা এলাকার ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়ি থেকে ৩৭ বিদেশিকে আটক করেন। আটক হওয়া বিদেশিদের ৩২ জন তাইওয়ানের ও পাঁচজন চীনের নাগরিক।
র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমত হায়াত প্রথম আলোকে জানান, অভিযানের সময় বাসার ভেতরে বিদেশিদের পাওয়া যায়। তাঁদের সবাইকে আটক করা হয়। এ সময় দুই বাংলাদেশিকেও সেখানে পাওয়া যায়। বাড়ি থেকে কিছু জাল ডলারও উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন, আটক করা নারী-পুরুষের সবাই ইংরেজি জানেন না। এ কারণে দোভাষী এনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
র‌্যাব সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে তাঁরা জানতে পারেন, এ বাড়িতে যে ভিওআইপি সরঞ্জাম ছিল, তাতে কোনো মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করা হয়নি। ল্যান্ডফোনের নম্বর ব্যবহার করে ভিওআইপি চালানো হতো। ওই বাড়িতে দেড় শতাধিক ফোন সংযোগ আছে বলেও তাঁঁরা জানতে পারেন।
সূত্র জানায়, বাড়িতে অবস্থান করা সব বিদেশি পর্যটক ভিসা নিয়ে এ দেশে এসেছেন। প্রথম দিকে তাঁরা তৈরি পোশাকের ক্রেতা বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কারখানায় ঘোরাফেরা করেছেন। কিন্তু বিভিন্ন দফায় তাঁদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়। কী করে দেড় বছর তাঁরা অবস্থান করলেন, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিজেদের কথাবার্তার জন্য তাঁরা ওয়াকিটকি ব্যবহারও করতেন বলেও র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান।
ওই বাড়ি থেকে কী পরিমাণ ভিওআইপি সরঞ্জাম পাওয়া গেছে—জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, প্রায় এক কোটি টাকার সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশিরা জানান, তাঁরা দেড় বছর ধরে এ বাড়িতে ভিওআইপি ব্যবসা করে আসছেন।