৬০০ কোটি টাকার মালিক হতে পারতাম: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর ক্ষমতা ব্যবহার করলে শুধু ছয় কোটি নয়, ৬০০ কোটি টাকার মালিক হতে পারতাম।’ তিনি বলেন, একটি পত্রিকা রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র হরণের জন্য একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা চাইছে তৃতীয় পক্ষকে ক্ষমতায় আনতে।
গতকাল সোমবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় হানিফ এসব কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হানিফ বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। এবারও উসকানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে তৎপর রয়েছে তারা। অন্যদিকে টেলিভিশনে টক শোর নামে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত রয়েছে একশ্রেণীর সুশীল সমাজ।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাংসদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. সেলিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ: ২১ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘৫ বছরেই সম্পদের পাহাড়’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি প্রতিবাদপত্রে বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় আমার প্রদত্ত তথ্য এবং আমার ছবি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মর্যাদাহানি ঘটানো হয়েছে।’
হানিফ দাবি করেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ-জাতীয় সংবাদ পরিবেশনের পেছনে যে অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করেছে, তা কারও জানতে বাকি নেই। নির্বাচনবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক ও ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করতেই এ-জাতীয় কাল্পনিক সংবাদের আবির্ভাব।
হানিফ আরও বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি ব্যবসায় জড়িত। ব্যবসা প্রসারের স্বার্থে নেওয়া ব্যাংকঋণের চেয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ অনেক কম হওয়ার পরও এই সম্পদকে পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করে কেন বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হলো, তা বোধগম্য নয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: মাহবুব উল আলম হানিফ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, প্রতিবেদনের বেশির ভাগ তথ্য-উপাত্ত সেখান থেকেই নেওয়া। এই প্রতিবেদনের কোনো তথ্যই কাল্পনিক নয়, কোনো তথ্য বিকৃতও করা হয়নি। প্রথম আলো অনুসন্ধান করে যেসব তথ্য পেয়েছে, সেগুলোর দালিলিক প্রমাণও প্রথম আলোর কাছে রয়েছে।