মানবসেতুতে হাঁটার ঘটনায় ব্যবস্থা চেয়ে করা রিট খারিজ

স্কুলছাত্রদের গড়া মানবসেতু দিয়ে হাঁটার ঘটনায় চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার রিট আবেদনটি খারিজ করেন।

‘ছাত্রদের শরীরে গড়া সেতু দিয়ে আনন্দে হাঁটলেন জনপ্রতিনিধি’ শিরোনামে একটি দৈনিকে গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান রিট আবেদনটি করেছিলেন।

রিট আবেদনে হাইমচরের উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেনের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং তাঁর কার্যক্রম কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে শিক্ষাসচিব, স্থানীয় সরকারসচিব, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, হাইমচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে মোতাহার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রদের গড়া মানবসেতু দিয়ে হাঁটার ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। মামলাও হয়েছে। তাই রিট আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন আদালত।

গত সোমবার হাইমচরের নীলকমল ওছমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতীকী মানবসেতুর ওপর দিয়ে হাঁটেন হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

হাইমচরের এই ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নূর হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি।

আরও পড়ুন: