২১ দিনে ইঞ্জিন উদ্ধার হয়নি

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া রেলস্টেশনের অদূরে রেলপথে নাশকতার ঘটনার ২১ দিনেও ট্রেনের ইঞ্জিনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত সোমবার পর্যন্ত মাত্র পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা অঞ্চলের রেল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) দীপক কুমার সিংহ বলেন, অবরোধের কারণে উদ্ধারকারী ট্রেন আসতে পারেনি। ফলে দুর্ঘটনাকবলিত ইঞ্জিনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার দিন ৪ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেন ও দুদু মিয়া, ৬ ডিসেম্বর সাঘাটা উপজেলার ফুটানি বাজার গ্রামের মো. দুদু ও একই উপজেলার সতীতলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শহিদুল ইসলাম এবং ৮ ডিসেম্বর সাঘাটার চিনিরপটল গ্রামের আবদুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাশকতা ও হত্যার অভিযোগে ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তার পরও গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এদিকে ঘটনার দিনই বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট অঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিন বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে পৃথক দুটি কমিটি গঠিত হয়। এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলেও অন্য কমিটি সোমবার পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি। মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। তবে তদন্তে কী পাওয়া গেছে, তা বলা যাবে না।
প্রসঙ্গত ৪ ডিসেম্বর গাইবান্ধার সাঘাটার বোনারপাড়া রেলস্টেশনের অদূরে বুরুঙ্গি নামক স্থানে ট্রেনের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে চারজন নিহত হন। দুর্বৃত্তরা রেলপথের ক্লিপ ও ফিশপ্লেট খুলে ফেলায় এ ঘটনা ঘটে।