ভবন জরাজীর্ণ, পাশের বাড়িতে চলছে পাঠদান

ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এক বছর ধরে পাশের বাড়িতে কোনো রকমে পাঠদানের কার্যক্রম চলছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়নের বড়কান্দিতে ১৯৯৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে একটি টিনের ঘর থাকলেও ১৯৯৬ সালে চার কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ভবনের ছাদ ও বিম থেকে পলেস্তারা খসে পড়ায় গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ভবনে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। পরে পাশের একটি বাড়িতে পাঠদান শুরু করা হয়। বর্তমানে এখানে ৯৬ জন শিক্ষার্থী এবং ৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় থেকে ২০-২৫ গজ দূরে ওই গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী গোলাম মোস্তফার নির্মাণাধীন একতলা ভবনে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষকেরা। ভবনটিতে চাটাইয়ে বসে পড়ালেখা করছে শিক্ষার্থীরা। এখানেই শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও পাঠদান করা হয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে আমরা জানিয়েছি। তাঁরা আমাদের বলেছেন, বিদ্যালয়ের সামনে মাটি ভরাট করে দিতে, তারপরে সেখানে ভবন নির্মাণ করা হবে।’

প্রধান শিক্ষক সামছুন্নাহার বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনে আমাদের অফিসটি রয়েছে। চুরি যাওয়ার আশঙ্কায় ওই ভবন থেকে কোনো বেঞ্চই বের করা হচ্ছে না। ভবনমালিক প্রবাসী গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই মেঝেতে পাঠদান করানো হচ্ছে।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নওসাদ মাহমুদ বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য বড়কান্দিসহ ১৮টি বিদ্যালয়ের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।