কালভার্টে পুরোনো রড ব্যবহারের অভিযোগ

যশোরের কেশবপুরের একটি সড়কে ১৯টি কালভার্ট নির্মাণে পুরোনো রড ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) কেশবপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট বাজার থেকে বরনডালি বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পিচঢালাইয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে শিকারপুর বাজার থেকে গোপালপুর আড়ুয়ার মাথা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করছে যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সজল এন্টারপ্রাইজ। এই অংশে ১৯টি কালভার্টও তৈরি হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব কালভার্টে নতুন রড না দিয়ে পুরোনো রড ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় ভালুকঘর গ্রামের শওকত বিশ্বাস বলেন, গ্রামের একটি মসজিদের কাছে নির্মিত কালভার্টেপুরোনো রড ব্যবহার করা হয়েছে। শ্রীরামপুর গ্রামের ইজাহার আলী মোল্লা বলেন, এই গ্রামের চৌমাথায় নির্মিত কালভার্টের ওপরে ও নিচে পুরোনো রড দিয়ে ঢালাই দেওয়া হয়েছে। একই গ্রামের আবুল মোল্লা বলেন, তাঁরা পুরোনো রড ব্যবহারের বিষয়ে মিস্ত্রিদের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছিলেন। তাঁরা বলেন, ঠিকাদারের নির্দেশে পুরোনো রড দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

গত শনিবার শ্রীরামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এখানে ঠিকাদারের নিযুক্ত মিস্ত্রিদের অস্থায়ী ঘরের সামনে পুরোনো রড মজুত করে রাখা হয়েছে। তবে সেখানে মিস্ত্রি বা অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সজল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিম রেজা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুরোনো রড ওইখানে ছিল এটা ঠিক। কিন্তু কালভার্ট নির্মাণে ওই রড ব্যবহার করা হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকতে পারে।’

এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি খুবই অসুস্থ থাকায় সব সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজের তদারক করতে পারিনি। তবে পুরোনো রড দেওয়া হলে ওই কালভার্ট ভেঙে নতুন করে নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’