বিতর্কিত ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ

টাকার বিনিময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি, এমন ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এস এম কামাল উদ্দিন। বক্তব্য দেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত কক্সবাজারের একমাত্র বীর প্রতীক নুরুল হক, রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চকরিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা গাজী গোলাম মওলা, মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উল আলম, ছালেহ আহমদ, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, কক্সবাজারে ‘ভুয়া’দের নেতৃত্বে চলছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কক্সবাজারে সম্মুখ যুদ্ধ হয়নি। ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের প্রথম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ১৪৭ জন। ২০০৪ সালে যাচাই-বাছাইয়ের নামে মুক্তিযোদ্ধার ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় আরও অন্তত ৬০ জনকে। ২০০৫ সালের ৪ জুন প্রকাশিত গেজেটে কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধা দেখানো হয়েছে ৩৩২ জনকে। এখন যাচাই-বাছাইয়ের নামে আরও প্রায় ২০০ জনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চলছে। অথচ কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধা আছেন অর্ধশতাধিক।
কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যসচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জেলা কমিটির কাছে পাঠায়নি। তালিকা হাতে এলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।