সাক্ষ্য দিলেন পুলিশ কনস্টেবল

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার একজন পুলিশ কনস্টেবল সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁর নাম কাজী ইসমাইল। তিনি এ মামলায় অস্ত্র ও গুলি জব্দ তালিকার সাক্ষী।

এ নিয়ে এ মামলায় মোট ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

ফেনী জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানান, জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হকের আদালতে কাজী ইসমাইল সাক্ষ্য দেন। চেয়ারম্যান একরাম হত্যাকাণ্ডের পর আসামি জাহিদ চৌধুরীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহরের মিজান রোডের সালাম কমিউনিটি সেন্টার এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও চারটি গুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ কনস্টেবল কাজী ইসমাইল ওই অস্ত্র ও গুলি জব্দ তালিকার সাক্ষী।

আজ ফেনী কারাগার ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ৩০ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা ১৫ জন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

হাফেজ আহাম্মদ জানান, ৯ জন আসামির জামিনের আবেদন জানানো হলেও আদালত সবগুলো আবেদন নামঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী কামরুল হাসান, আহসান কবীর, সাহাব উদ্দিন সাক্ষীকে জেরা করেন। ১১ জন পলাতক আসামির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কফিল উদ্দিন।

আদালত সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান একরাম হত্যার ঘটনায় গত বছর ২৮ আগস্ট মোট ৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৪৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন কোনো না কোনোভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার ১১ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে একমাত্র বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরী ছাড়া অন্যরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। মিনার চৌধুরী গত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে একরামের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।

২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ির গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।