সভাপতি, সম্পাদক হতে ৭৫টি জীবনবৃত্তান্ত জমা

সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে ৭৫ জন নেতা তাঁদের জীবনবৃত্তান্ত সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমা দিয়েছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুসারে নেতারা এই জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছেন।

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ১১ মার্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন সম্মেলন করতে না পারায় সন্ধ্যায় কেন্দ্র থেকে জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত ১৫ মার্চের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক দারুস সালাম শাকিল ও ক্রীড়া সম্পাদক চিন্ময় রায়ের কাছে জমা দিতে বলা হয়।

চিন্ময় রায় গতকাল বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী ৭৫ জনের জীবনবৃত্তান্ত পাওয়া গেছে। এগুলো তিন দিনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে দেওয়া হবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা হতে পারে।

সদ্যবিলুপ্ত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী সভাপতি হওয়ার জন্য জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সংগঠিত ও শক্তিশালী। আশা করি, কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।’

দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, ২০১০ সালের ১৩ অক্টোবর কেন্দ্র থেকে ফজলে রাব্বীকে সভাপতি ও রফিক আহমদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ১০ সদস্যের কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর এই দুই নেতার পক্ষ হয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে জেলা ছাত্রলীগ। ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল কেন্দ্র থেকে আবার ফজলে রাব্বীকে সভাপতি ও রফিক আহমদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক রেখে ১২১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরও বিভক্তি থেকে যায়। সর্বশেষ ১১ মার্চ জেলা সম্মেলন করার জন্য কেন্দ্র থেকে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা সম্মেলন করতে পারেননি। পরে ওই দিনই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।