বিদ্যালয়ের জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের চরপুমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন জমি দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ‘শিক্ষানুরাগী এলাকাবাসী’র ব্যানারে বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
উলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে পরিচয়দানকারী মাওলানা সাইফুল ইসলাম ওই জমির অবৈধ কাগজপত্র তৈরি করে এবং স্থানীয় প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জমিতে বিপণিবিতান নির্মাণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পুমদী ইউনিয়নের চরপুমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই থাকেন ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ভূঞা ও তাঁর ভাই মাহবুবুর রহমান ভূঞা। ৭ ডিসেম্বর সাইফুল লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের জায়গার একটি প্রাচীন রেইনট্রি ও একটি মেহগনিগাছ কেটে বিক্রি করে দেন। পরে সেখানে দোকানঘর নির্মাণের জন্য দেয়াল নির্মাণ করা হয়। এ নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর ‘ওলামা লীগের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, হোসেনপুরে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে দেয়াল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এদিকে সাইফুল ইসলাম উলামা লীগের কেন্দ্রীয় বা জেলা কমিটির কোনো নেতা নন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন জেলা উলামা লীগের সভাপতি এইচ এম সুলাইমান। বিজ্ঞপ্তিতে ভুয়া পরিচয় ও পদবি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জমি দখলের নিন্দা জানানো হয়।
মানববন্ধন অংশ নেওয়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মফিজ উদ্দিন, জায়েদুল ইসলাম এবং গিয়াসউদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা অন্যায়ভাবে দখল করে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক মো. গোলাপ মিয়া বলেন, ‘স্কুলের জায়গার গাছ কেটে মার্কেট নির্মাণ করায় বিদ্যালয়টির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও সাইফুল ইসলাম ভূঞার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এলাকাবাসীর লিখিত একটি অভিযোগ পাওয়ার পর বিদ্যালয়ে গিয়েছি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও অভিযুক্তদের ডেকে যৌথ সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’