হামলা করে উপজেলা চেয়ারম্যানের সই আদায়ের অভিযোগ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় অনুষ্ঠানে হামলা করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির কাগজে জোর করে সই আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার যুবলীগের কয়েকজন কর্মী এ ঘটনা ঘটান।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছার পৌর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হওয়ার জন্য অনেক আবেদন জমা পড়েছে। তারাটি পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রণতি মল্লিক আবেদনকারীদের একজন। তাঁর পক্ষে যুবলীগের কর্মী আবদুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন তদবির করছেন। তাঁরা উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া হারুনকে বদলির কাগজে সই করতে চাপ দিচ্ছিলেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গতকাল দুপুরে মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৬০ দিনব্যাপী মাঠকর্ম দিবসের সমাপনী উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের বিআরডিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া হারুন। সেখানে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলী উসমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা পারভেজ ও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালে আবদুর রাজ্জাক ২০-২৫ জন যুবককে নিয়ে চেয়ার ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এ সময় তাঁরা জাকারিয়া হারুনকে উদ্দেশ করে বদলির কাগজে সই করতে বলেন। জাকারিয়া হারুন নিয়মবহির্ভূতভাবে সই করতে না চাইলে তাঁরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করতে উদ্যত হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভয়ে দৌড়াতে শুরু করেন। পরে জাকারিয়া হারুন বদলির কাগজে সই করে দেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি যুবলীগের ওই কর্মীদের নিয়মমাফিক বদলির কাগজ নিয়ে আসতে বললে তারা হামলা করতে উদ্যত হয়। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সই করতে বাধ্য হই। ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন।’

মুক্তাগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত সবার সাথে কথা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যুবলীগের কর্মী আবদুর রাজ্জাকের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।