কামরাঙ্গীরচরে সড়কে এলইডি বাতি, মানুষের মনে স্বস্তি

অবশেষে কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন সড়কে এলইডি বাতি লাগানোর কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এক মাসের মধ্যে প্রতিটি সড়কে বাতি লাগানোর কাজ সম্পন্ন হবে।
কামরাঙ্গীরচর ডিএসসিসির ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। ডিএসসিসির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে এই এলাকাটি সিটি করপোরেশনের আওতায় আসে। কিন্তু বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন নাগরিকেরা। এই তিনটি ওয়ার্ডে প্রায় ১২ লাখ লোকের বাস।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগে সড়কে বাতি না থাকায় রাস্তাঘাটে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত। এতে সন্ধ্যার পর সড়কে চলাচল কমে যেত। এখন এলইডি বাতি লাগানোর পর মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে তাঁর ওয়ার্ডের প্রধান সড়কগুলোতে তিন শতাধিক এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে। শিগগিরই গলিগুলোতে বাতি লাগানো হবে। এতে নাগরিকদের দুর্ভোগ কমবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দেখা যায়, সদরঘাট-গাবতলী বেড়িবাঁধ সড়কের রসুলপুর সেতু, রনী মার্কেট, মধ্য রসুলপুর, দক্ষিণ রসুলপুর, কাঠপট্টি, খলিফাঘাট মোড়, কুড়ার ঘাট, বড়গ্রাম চেয়ারম্যানবাড়ি, কামরাঙ্গীরচর থানা সড়কে এলইডি বাতি জ্বলছে।
রসুলপুর প্রধান সড়ক দিয়ে হেঁটে কাঠপট্টির বাসায় ফিরছিলেন মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ‘আগে সন্ধ্যার পর ছিনতাই ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্যে সড়কে একা চলাচল করতে ভয় লাগত। কিন্তু এখন সড়কে পর্যাপ্ত আলো থাকায় ভয় কমেছে।’
রনী মার্কেটের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুল হক খান বলেন, সড়কে এলইডি বাতি লাগানোর পর পুরো এলাকা আলোকিত হয়ে গেছে। কামরাঙ্গীরচরের সৌন্দর্যও বেড়েছে।
তবে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমবাগ, ইব্রাহীমনগর, বালুর মাঠ, হাসলাই, কয়লাঘাট, করিমবাগ, আহসানবাগ, মোমিনবাগ, নিজামবাগ, নুরবাগ, বাগাচান খাঁ, মাদবর বাজার, রহমানবাগ, আশ্রাফবাদ, মাদ্রাসাপাড়া, পশ্চিম মমিনবাগ ও নিজামবাগ এলাকার প্রধান সড়কে বাতি দেখা যায়নি। ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান সড়কগুলোতে সড়কবাতি নেই।
৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর ওয়ার্ডে এলইডি বাতি লাগানোর কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে তাঁর ওয়ার্ডে বাতি বরাদ্দ দিয়েছে ডিএসসিসি।