১৪ আসামির আত্মসমর্পণ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কৃষক দুলাল মিয়া হত্যা মামলার ১৪ জন আসামি গতকাল সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁরা জামিনের আবেদন করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেগম তাসলিম আক্তার তা নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

ওই ১৪ জন হলেন করিমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নেতা ও মামলাটির প্রধান আসামি সোহরাব হোসেনের ভাই সঞ্জু মিয়া (৪৫), গোলাপ মিয়া, (৫৫) ও কেলু মিয়া (৩৯), রায়হান (২২), শফিকুল (২৩), দিপু (২০), বাদশা (৩৪), কালাম (৫৫), খোকন (৪০), ফজলুল হক (৬৫), শাকিল (২৩), রাব্বি (২৮), মতিন (৬২) ও মফিজ (৪৫)। তাঁদের বাড়ি চরদেহুন্দা গ্রামে।

থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শত্রুতার জের ধরে গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে চরদেহুন্দা এলাকায় দুলাল মিয়ার (৬০) ওপর সোহরাব হোসেন ও তাঁর চার ভাইসহ কয়েকজন হামলা চালান। হামলাকারীরা তাঁকে কুপিয়ে ও রড দিয়ে আঘাত করেন। লুটিয়ে পড়লে তাঁরা দুলাল মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে দেন এবং মাথাসহ শরীরে এলোপাতাড়ি কোপান। চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে ঢাকায় নিলে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সোহরাব হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়। সোহরাবকে গত শুক্রবার রাতে ঢাকার কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম গতকাল আসামিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।