পারিবারিক পরিমণ্ডলে বেয়াই বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার এক সরকারি সফরে ফরিদপুরে আসেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বেয়াই স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শহরতলির বদরপুরস্থ বাড়ি আফসানা মঞ্জিলে যান। বেলা ৩টা ৫ মিনিটের দিকে তিনি এক জনসভার উদ্দেশে ওই বাড়ি থেকে রওনা হন। এ সময় সেখানে তিনি জোহরের নামাজ আদায় এবং দুপুরের খাবার খান। এই তিন ঘণ্টা আত্মীয়স্বজনসহ পারিবারিক পরিমণ্ডলে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারটি ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুর সার্কিট হাউসের ভিআইপি মিলনায়তনে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে আরেকটি হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ফরিদপুরে পৌঁছান।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বেয়াই স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শহরতলির বদরপুরস্থ বাড়ি আফসানা মঞ্জিলে যান। সেখানে তিনি জোহরের নামাজ আদায় করেন এবং দুপুরের খাবার খান। প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে খন্দকার মাসরুর হোসেন মিতুর স্ত্রী। বেয়াই বাড়িতে তিন ঘণ্টা কাটিয়ে তিনি ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার উদ্দেশে ওই বাড়ি থেকে রওনা হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাড়িতে অবস্থাকারী এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, প্রধানমন্ত্রী ওই বাড়িতে পারিবারিক পরিমণ্ডলে মেয়ে, জামাই, নাতি-নাতনি ও আত্মীয়স্বজনসহ সময় কাটান।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উত্তর ফরিদপুর শহরের বদরপুরে ১৪ একর জমির ওপর বাংলো ধাঁচে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এ বাড়িটি নির্মিত। এই বাড়ির উত্তর দিকে বড় একটি ঘাটলা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওই ঘাটলায় কিছু সময়ের জন্য বসেন। বাড়ির পশ্চিম দিকে একটি শালবাগান আছে। ময়ূর, কবুতর ও একটি ঘোড়া পোষা হয় ওই বাড়িতে। প্রধানমন্ত্রী পুরো বাড়িটি ঘুরে দেখেন। বাড়ির পুকুর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই জাল দিয়ে ১০ থেকে ১৩ কেজি ওজনের ছয়টি কাতল মাছ ধরা হয়। এ মাছগুলো প্রধানমন্ত্রীর জন্য গণভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সঙ্গে দেওয়া হয় মিষ্টি ও দই।

ওই বাড়িতেই প্রধানমন্ত্রীসহ সফরে আগত অন্যান্য মন্ত্রী ও সাংসদদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বাড়ির একটি টেবিলে পারিবারিক পরিমণ্ডলে খাবার গ্রহণ করেন। এখানে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে, জামাতা, এক নাতি ও তিন নাতনি খাবার গ্রহণ করেন।

অন্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের তিন ভাই ও চার বোন উপস্থিত ছিলেন। তবে খন্দকার মোশাররফ অন্য মন্ত্রী ও সাংসদদের সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন।