মডেল রাউধার মৃত্যু: রাজশাহীতে মালদ্বীপের পুলিশ

.
.

রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী ও মালদ্বীপের মডেল রাউধা আথিফের আত্মহত্যার তদন্ত করতে রাজশাহী পৌঁছেছেন মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

আজ সোমবার বিকেলে মালদ্বীপের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রিয়াজ ও জ্যেষ্ঠ পরিদর্শক আলী আহমেদ রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। এ সময় নগরের শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ও ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাশেদুল হক তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান।

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আল আমিন হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাউধার আত্মহত্যার বিষয়ে শাহ মখদুম থানায় করা অপমৃত্যুর মামলাটি রোববার নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা রাজশাহীতে এসেছেন। তাঁরা মডেল রাউধা আথিফের আত্মহত্যার বিষয়ে তদন্ত করতে চান। তবে আমাদের সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কথা হয়নি। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রাশেদুল হককে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।’

মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা সার্কিট হাউসে অবস্থান করছেন। সোমবার কোথাও বের হননি। তাঁরা কাল মঙ্গলবার রাউধার আত্মহত্যার ব্যাপারে খোঁজখবর নেবেন।

২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাজশাহী নগরের হেতেম খাঁ কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। এদিন মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আইশাদ শান শাকির, রাউধার বাবা মোহাম্মাদ আথিফ, মা আমিনাথ মুহাররিমাথসহ ভাইবোনেরা উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাউধা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান মডেল তারকা রাউধা আথিফ এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বছরের ২২ অক্টোবর ভোগ ইন্ডিয়ার প্রচ্ছদে অন্য মডেলদের সঙ্গে ‘নীল নয়না’ রাউধার ছবিও ছাপা হয়। রাউধার বাড়ি মালদ্বীপের মালেতে।