হাওরে এনজিওর ঋণ মওকুফ চান সাংসদ

সুনামগঞ্জের ফসলহারা কৃষকদের মধ্যে যাঁদের এনজিও ঋণ আছে, তাঁদের ঋণের কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে দিতে বলেছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। তিনি বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাওরে ফসলহানির পর কৃষিঋণ আদায় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এখন উচ্চ সুদে এনজিওগুলোর কাছ থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির যন্ত্রণায় আছে ফসলহারা মানুষ। এনজিওগুলোর ঋণ মওকুফ করতে হবে।’

সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘আপাতত কৃষকেরা যেন কোনো এনজিওকে ঋণের কিস্তি না দেন। কিস্তি না দেওয়ায় কোনো এনজিও যদি কোনো কৃষককে চাপ দেয়, সেটি যেন আমাকে জানানো হয়।’
সুনামগঞ্জে আজ সোমবার বিকেলে হাওরের ফসলহানির পর স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতামূলক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ইপিআই ভবনে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেনসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘এনজিওগুলো এসব গরিব মানুষদের কাছ থেকে বহু ব্যবসা করেছে। এই কৃষকেরা মহাবিপদে পড়েছেন। এখন যেন তাঁদের ঋণের কিস্তির জন্য কোনো চাপ না দেয়। আর কৃষকেরা যেন ঋণের কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে দেন। যদি কোনো এনজিও ঋণের কিস্তির জন্য কোনো কৃষককে চাপ দেয়, তাহলে এনজিওগুলো জনগণের তোপের মুখে পড়বে।’
সভায় থাকা সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ক্ষয়ক্ষতি কম দেখানোর এক প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এটা করবেন না, আপনারা সরকারকে সঠিক অবস্থা জানান। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রতি আন্তরিক। কিন্তু দেখা গেল, আপনার সঠিক তথ্য না পাঠানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটা যেন না হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সিভিল সার্জন আশুতোষ দাশ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহেদুল হক, মৎস্য কর্মকর্তা শংকর রঞ্জন দাশ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।