পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেয়েছে বিউটি আক্তার

অভাবের সংসারে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয় বিউটি আক্তার। এ নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। কিন্তু ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম মেয়েটিকে দমাতে পারেনি। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে এখন ওই গ্রামের দৃষ্টান্ত।

বিউটি আক্তার জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর গ্রামের বায়োজিদ হোসেন ও রহিমা বেগমের মেয়ে। ক্ষেতলালের আকলাশ শিবপুর শ্যামপুর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে বিউটি আক্তারসহ চারজন মেয়ে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিউটি আক্তারের মা রহিমা বেগম বলেন, নিজেদের দেড় বিঘা আর অন্যের জমি বর্গা করে কোনো রকমে সংসার চলে তাঁদের। বিউটিরা এক ভাই ও এক বোন। বড় ভাই বগুড়ায় স্নাতকোত্তরে পড়ছেন।

আকলাশ শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকাম উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন, প্রতিবন্ধী হলেও বিউটি কখনো ক্লাস ফাঁকি দিত না। পা দিয়ে লিখলেও অনেকের চেয়ে তার লেখা অনেক সুন্দর। বিউটি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিল।

বিউটি আক্তার বলে, পা দিয়ে লেখা শেখানোর মূলে তার মা। তার জন্য মা অনেক কষ্ট করেছেন। মায়ের কাছ থেকে এবং সাহায্য নিয়ে প্রায় সব কাজই করতে শিখেছে সে। বিউটি পড়ালেখা শিখে শিক্ষকতা করতে চায়।