দুর্যোগে জীবন বাঁচাতে পারে গণমাধ্যম

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও দুর্যোগ মোকাবিলায় গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ পালন করতে পারে। সবার জন্য তথ্য সরবরাহ করে ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে তারা মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এশিয়া ও প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (আবু) আয়োজিত তৃতীয় ওই সম্মেলনে ১৮টি দেশের গণমাধ্যম ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। বিভিন্ন অধিবেশনে তাঁরা জলবায়ু ও দুর্যোগ বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকদেরও এতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন দেশ। সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তহবিল গঠন করেছে। উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন রেজিলিয়ান্স তহবিল গঠন করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ কমানো বা মিটিগেশন করা অনেক কঠিন। ফলে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা অ্যাডাপমেটশনকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশের হাওরের ছয়টি জেলায় যে বন্যা হলো, গণমাধ্যমে তা অত্যন্ত সাহসীভাবে উঠে এসেছে। গণমাধ্যমের এই ভূমিকা সরকারের হাওর বিষয়ে নীতিনির্ধারণ ও সমস্যা চিহ্নিত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আগামী দিনগুলোতে গণমাধ্যম জলবায়ু ও দুর্যোগ বিষয়ে ভূমিকা রেখে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
আবুর মহাসচিব জাভাড গোত্তাগি বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ বিষয়ে সংবাদ সবার আগে প্রকাশ করছেন উল্লেখ করে বলেন, এসব প্রাকৃতিক সমস্যা এখন আর স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিসরে তা ঘটছে। ফলে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে এ বিষয়ে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও গণমাধ্যমবিষয়ক কারিগরি অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রসচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সহায়তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। নদীভাঙন ও ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি হারানো মানুষকে খাসজমিতে পুনর্বাসন করছে।