আপাতত শুল্ক গোয়েন্দাদের সামনে যেতে হচ্ছে না রেইনট্রির এমডিকে

রেইনট্রি হোটেল
রেইনট্রি হোটেল

রাজধানীর বনানীর বহুল আলোচিত দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুনকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে ডেকে পাঠানোর নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

আদনান হারুনের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

ওই নোটিশ অনুযায়ী জবাবদিহির জন্য আদনান হারুনের কাল মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যাওয়ার দিন ধার্য ছিল। এর ঠিক এক দিন আগে উচ্চ আদালত থেকে এই আদেশ এল।

আদালতে আদনান হারুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।

পরে আহসানুল করিম বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের দেওয়া নোটিশের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে আদনান হারুনকে কাল জবাবদিহির জন্য শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যেতে হচ্ছে না।

আহসানুল করিম বলেন, আদনান হারুনকে ১৫ মে নোটিশ দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তাঁকে ২৩ মে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যেতে বলা হয়েছিল। কাস্টমস ও মানি লন্ডারিং আইনে দেওয়া নোটিশে অ্যালকোহল সংরক্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদনান হারুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় পড়ে। এসব যুক্তি দেখিয়ে রিটটি করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

গত ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। কাগজে-কলমে হোটেলটির মালিকানা আওয়ামী লীগের সাংসদ বজলুল হক হারুনের (বি এইচ হারুন) স্ত্রী, তিন ছেলে ও মেয়ের নামে। হোটেলের পরিচালকেরা হলেন বি এইচ হারুনের স্ত্রী মনিরা হারুন, তিন ছেলে শাহ মো. নাহিয়ান হারুন, শাহ মো. আদনান হারুন ও মাহির হারুন এবং মেয়ে হোমায়রা হারুন। আদনান হারুন হোটেলটির এমডি।

সম্প্রতি হোটেলটিতে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালান। অভিযানের সময় একটি কক্ষ থেকে ১০ বোতল মদ পাওয়ার কথা জানান শুল্ক গোয়েন্দারা।