ফুলবাড়ীতে দুই ব্যক্তির নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চাঁদা না পেয়ে ফেসবুকে কুৎসা রটনার অভিযোগে খাজানুর হায়দার ওরফে লিমন (৩৮) ও মোতালেব হোসেন (৪৮) নামের কথিত দুই সাংবাদিকের নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ফুলবাড়ী থানায় মামলাটি করেছেন যায়যায়দিন পত্রিকার ফুলবাড়ী সংবাদদাতা মো. রজব আলী।

খাজানুর হায়দার ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পূর্বকাটাবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের আহের উদ্দিনের ছেলে এবং মোতালেব হোসেন ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর হাজির মোড় এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে।

খাজানুর হায়দার মাইনিং সিটি নামের একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক এবং সাপ্তাহিক জাগো রংপুর-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক। মোতালেব হোসেন মাইনিং সিটির প্রকাশক।

রজব আলী বলেন, খাজানুর হায়দার বহুদিন ধরে এলাকায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছেন। তাঁর (রজব আলী) কাছে বেশ কিছুদিন ধরে খাজানুর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় খাজানুর ও মোতালেব মাইনিং সিটি নামে একটি ফেসবুক পেজে তাঁর একটি বিকৃত ছবি পোস্ট ও কুৎসা রটান। এ ছাড়া ১৬ মে রজব আলীর এক সহকর্মী ও আরেক সাংবাদিকের কাছে খাজানুর হায়দার বলেন, দাবি করা চাঁদা না দিলেসাপ্তাহিক প্রত্রিকায় রজব আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হবে। এ ঘটনায় তিনিথানায় মামলা করেন।

ফুলবাড়ীর জিএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘মাস ছয়েক আগে লিমন তাঁর পত্রিকায় আমার প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেন। এর প্রতিবাদ জানাতে বললে চাঁদা দাবি করেন। জানতে পেরে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লিমনকে ধাওয়া করে।’

ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, ‘লিমনের কারণে ফুলবাড়ীতে সাংবাদিকদের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হতে বসেছে। তাঁকে বহুবার এসব থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। আমার সঙ্গে প্রতারণা করায় ২০১৫ সালে থানায় একটি জিডি করি।’

ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘লিমন (খাজানুর হায়দার) এক কথায় একজন ইয়োলো সাংবাদিক।’

ফুলবাড়ী থানার ওসি নাসিম হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, রজব আলীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে।