গ্রেপ্তার চারজন আদালতে, আসামি ১৪০

ছবি: আশরাফুল আলম
ছবি: আশরাফুল আলম

সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শাহবাগ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত ১৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার মামলায় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি মোর্শেদ হালিম, ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী জয় ও উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফ নূরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গতকাল দুপুরের দিকে ছাত্র ইউনিয়ন, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও ব্লগার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, গণজাগরণ মঞ্চ, ছাত্র-শিক্ষক-লেখক-শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী, নাগরিকবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রঙিন পানি ছিটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হন ১০ জন।

সুপ্রিম কোর্টের মূল চত্বর থেকে সরিয়ে ভাস্কর্যটি এখন ত্রিপলে মুড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টের বর্ধিত ভবনের পেছন দিকে রাখা হয়েছে।


ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটক বরাবর লিলি ফোয়ারায় ভাস্কর্যটি বসানো হয়। দেড় মাসের মাথায় এটিকে গ্রিক দেবীর মূর্তি দাবি করে অপসারণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে লিখিত আবেদন জানান আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী বিবৃতি দিয়ে ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। হেফাজতের সর্বশেষ বিবৃতিতে রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানানো হয়।