দিল্লিতে হাইকমিশনার পদে পেশাদার এক কূটনীতিক

প্রায় আট বছর বিরতির পর দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে পেশাদার এক কূটনীতিককে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী অক্টোবরে ভারতের বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর চুক্তির মেয়াদ শেষে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ইমরান।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুরুতে সাবেক কূটনীতিক তারেক এ করিম ভারতে হাইকমিশনার হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। চুক্তিতে নিয়োগ পেয়ে ২০১৪ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাঁর মেয়াদ শেষে ওই বছরের অক্টোবরে তিন বছরের চুক্তিতে হাইকমিশনার পদে নিয়োগ পান সাবেক পররাষ্ট্রসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে জানিয়েছে, ভারতে বর্তমান হাইকমিশনারের চুক্তির মেয়াদ শেষে একজন পেশাদার কূটনীতিককে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই পদে নিয়োগের জন্য পররাষ্ট্র ক্যাডারের যেসব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কথা বিবেচনায় করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ ইমরান।

বিসিএস ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান সংযুক্ত আরব আমিরাতের আগে উজবেকিস্তানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মোহাম্মদ ইমরান রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) হিসেবে কাজ করেছেন। ওই পদে কাজ করার ঠিক আগেই তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে ভারতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পরিবর্তে সরকার পেশাদার কূটনীতিক নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বহাল থাকছে আগের নীতি। অর্থাৎ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ছে আরও দুই বছরের জন্য।

ঢাকায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেকের মহাসচিব পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এক কূটনীতিক। এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে শ্রীলঙ্কার কূটনীতিক সুমিত নাকানডালার মেয়াদ শেষ হলে ইউরোপে কর্মরত বাংলাদেশের এক রাষ্ট্রদূত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন।