পাথরঘাটায় ডায়াগনস্টিক সিলগালা, দুজনের দণ্ড

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গত সোমবার সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া একজন ভুয়া প্যাথলজিস্টকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে চরদুয়ানী বাজারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নাম জয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনুমোদনহীন এ রোগনির্ণয়কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের অপচিকিৎসা ও দক্ষ কর্মী ছাড়াই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 জয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. কামরুল হুদা। এতে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. আনোয়ার উল্যাহ। তিনি গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, অনুমোদন ছাড়াই চরদুয়ানী বাজারের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চার বছর ধরে রোগনির্ণয় ও গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে অপচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অনুমোদনহীন এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দক্ষ কর্মী নেই। অথচ ডিজিটাল ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রামসহ নানা পরীক্ষার নামে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। এ কারণে সেটি সিলগালা করা হয়েছে। সেখানকার ভুয়া প্যাথলজিস্ট উত্তম কুমার বালিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর গ্রাম্য চিকিৎসক উত্তম কুমার মিত্রকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত উত্তম কুমার বালিকে গতকাল সকালে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।