চাঁদপুর শহরে সংঘর্ষ, ফাঁকা গুলি

চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদুল ইসলামকে বহনকারী একটি মোটরসাইকেল আটক করা নিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৫ পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা শহরে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ও লাঠিপেটা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদুল ইসলামসহ তিনজনকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেল শপথ চত্বরের দিকে যাচ্ছিল। পথে চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন তাঁদের থামতে সংকেত দেন। ওই সংকেত এড়িয়ে মোটরসাইকেলটি শহরের শপথ চত্বরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তখন পুলিশ মোটরসাইকেলটিকে আটক করে। এ সময় জাহেদুলের সঙ্গে পুলিশের কথাকাটাকাটি ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জাহেদুলের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এক হয়ে পুলিশের একটি গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান। পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় শহরের কালীবাড়ি ও শপথ চত্বরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রী ও ক্রেতারা বিভিন্ন দোকানে আটকা পড়েন।

পুলিশ একপর্যায়ে লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। বিকেল সোয়া চারটা থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলতে থাকে। এতে করে এক ঘণ্টা শহরে যান চলাচল বন্ধ থাকে। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক মো. আবদুর সবুর মণ্ডল ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নইম পাটওয়ারী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামছুন্নাহারের পদত্যাগ দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এসপি শামছুন্নাহার ঘটনাস্থলে আসেন।

এসপি সাংবাদিকদের জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে কিছু মোটরসাইকেল আটক করলে উত্তেজিত হয়ে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল যুবক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

একাধিকবার ফোন দিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়ায় এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদুল ইসলামের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যায় চাদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উল্লা বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।