২০৬ চালকল কালো তালিকাভুক্ত

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ২০৬টি চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। চলতি বোরো চাল সংগ্রহ মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি না করায় এসব চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

কালো তালিকাভুক্ত চালকলগুলো খাদ্য বিভাগের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় পড়ায় এসব চালকল আসন্ন আমনসহ আগামী চারটি মৌসুমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বোরো চাল সংগ্রহ মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৬৭ দশমিক ৯৯০ মেট্রিক টন। পীরগঞ্জ উপজেলায় ৩০০টি চালকল রয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ জন চালকল মালিক সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এতে ২ হাজার ৬৯৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ নিশ্চিত হয়। কিন্তু ৩ হাজার ৫৭১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পীরগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মো. শাহীন গতকাল সোমবার বলেন, উপজেলার ৩০০টির মধ্যে যে ৯৪টি চালকলের মালিক নির্দিষ্ট সময়ে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৩৭ জন মালিক গুদামে চাল দিয়েছেন। এ পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।

উপজেলা সদরের ‘মা’ চালকলের মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ধান-চালের ব্যবসা করতেই চালকল স্থাপন করেছি। ব্যবসায় লাভ-লোকসান তো থাকবেই। আমাদের অটোরাইসমিলসহ সব চালকলে মৌসুম ও মাস চুক্তিতে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। তাদের পরিবারের আহার হয় এ চালকল থেকে। আমরা যদি খাদ্যগুদাম থেকে শুধু লাভের বিষয়টাই চিন্তা করি, তাহলে চলবে না। সবগুলো বিষয় ভাবতে হবে।’

উপজেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. ইমদাদুর রহমান বলেন, ‘বাজারে চালের দাম বেশি না হলে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতাম। প্রতি কেজিতে পাঁচ-ছয় টাকা লোকসান দিয়ে সরকারকে চাল দিতে গেলে অনেক মালিকই ব্যবসার পুঁজি হারাবেন। সার্বিক বিবেচনায় সরকারি ক্রয়মূল্যটা একটু বাড়ালে ভালো হতো।’