বাদীকে জেরার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

দশ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলা
দশ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলা

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বাদী ও প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা আহাদুর রহমানকে পুনরায় জেরা করা এবং আদালত পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে এক আসামির পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি হবে।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি বিচারিক আদালত চট্টগ্রাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এ-সংক্রান্ত দুটি মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওই দিনই বিচারিক আদালত ৩০ জানুয়ারি মামলা দুটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার একজন আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান গত সপ্তাহে হাইকোর্টে উল্লিখিত আবেদনটি করেন।
গতকাল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি পরে প্রথম আলোকে বলেন, আকবর হোসেনের পক্ষে মামলার বাদী, প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ও সাক্ষী আহাদুর রহমানকে জেরা করার সুযোগ না দিয়ে সাক্ষ্য সমাপ্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ওই সাক্ষীকে তলবের আবেদন করা হলে তা নাকচ হয়। এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনটি করা হয়। আবেদনে আদালত পরিবর্তন এবং ওই সাক্ষীকে পুনরায় জেরার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) জেটিতে খালাসের সময় ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ে। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান বাদী হয়ে দুটি মামলা (অস্ত্র ও চোরাচালান) করেন। দুই মাস পর মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তাতে স্থানীয় চোরাচালানি হাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। বাকিদের প্রায় সবাই স্থানীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আদালতের নির্দেশে মামলা দুটির অধিকতর তদন্ত শুরু হয়। নতুন ১১ জনকে আসামি করে ২০১১ সালের ২৬ জুন সিআইডি উভয় মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমদ, সাবেক উপপরিচালক লিয়াকত হোসেন, সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক, সাবেক শিল্পসচিব নুরুল আমিন ও ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক শাখার প্রধান পরেশ বড়ুয়া। শেষ দুজন পলাতক, বাকিরা কারাগারে আছেন।