মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা

মুসা বিন শমসের। ফাইল ছবি
মুসা বিন শমসের। ফাইল ছবি

বিলাসবহুল গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি ও সুইস ব্যাংকে ৯৬ হাজার কোটি টাকার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিলের কারণে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে আজ সোমবার অর্থ পাচার প্রতিরোধ (মানি লন্ডারিং) আইনে মামলা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এ মামলা দায়ের করে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, রাজধানীর গুলশান থানায় আজ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার বাদী শুল্ক গোয়েন্দা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, মুসা বিন শমসেরের ব্যবহার করা বিলাসবহুল একটি গাড়ি এ বছরের ২১ মার্চ আটক করে শুল্ক গোয়েন্দাদের একটি দল। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কালো রেঞ্জ রোভার গাড়িটি কেনা হয়। অনুসন্ধানে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা কালো রেঞ্জ রোভার মডেলের একটি গাড়ি ভোলা বিআরটিএর কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে নিবন্ধন করেন। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দারা অনুসন্ধানে দেখতে পান, এ গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক কর জড়িত। গাড়িটি পাবনার ফারুকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়।

এ জন্য শুল্ক গোয়েন্দারা ঢাকা কাস্টম হাউসে শুল্ক ফাঁকির মামলা দায়ের করেছিলেন। অন্যদিকে, রেজিস্ট্রেশন-প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুরোধ করা হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তাঁর ৯৬ হাজার কোটি টাকা জমা আছে। কিন্তু তিনি এ টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি বলে শুল্ক গোয়েন্দারা জানান।