দুই জেলার চার শতাধিক পরিবার ত্রাণ পেল

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার আহসানপুর গ্রামে বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের মাঝে গতকাল প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া হয় l ছবি: প্রথম আলো
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার আহসানপুর গ্রামে বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের মাঝে গতকাল প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া হয় l ছবি: প্রথম আলো

বন্যাদুর্গত দিনাজপুর ও সুনামগঞ্জে গত দুদিনে ৪১৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট ও প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যদের উদ্যোগে।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বন্যার্ত ১১৫ পরিবারকে গতকাল বুধবার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। বন্ধুসভার সদস্যরা এই ত্রাণ বিতরণ করেন। জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের অর্থায়নে বন্যার্ত মানুষদের এই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।

সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহর থেকে ত্রাণ নিয়ে বন্ধুসভার সদস্যরা নৌকায় করে জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলি ইউনিয়নের হালির হাওরপাড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম আহসানপুরের বন্যার্ত মানুষের হাতে এই ত্রাণ তুলে দেন। প্রতিটি পরিবারকে ছয় কেজি করে চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি ডাল, এক কেজি লবণ ও চারটি করে খাওয়ার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।

ত্রাণ পেয়ে আসমা বেগম (৫২) বলেন, ‘তিন দিন ধইরা ঘরও পানি। খেউ (কেউ) আইয়া দেখছে না। তোমরা এই বিপদের মাঝে খানি লইয়া আইছ। খুব খুশি অইছি।’

এর আগে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দিরাই, শাল্লা ও ধরমপাশা উপজেলার ৫১৫টি পরিবারকে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়েছিল।

গতকাল ত্রাণ বিতরণকালে প্রথম আলো সুনামগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি মো. রাজু আহমেদ, সহসভাপতি রণজিৎ কুমার দে ও প্রদীপ পাল, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের সুনামগঞ্জের এরিয়া ম্যানেজার মো. জিয়াউর রহমান তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম আলো দিনাজপুর বন্ধুসভার সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগে গত মঙ্গলবার ও গতকাল জেলার বিরল উপজেলার রেল ব্রিজ এলাকা ও সদরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা এলাকার ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

দিনাজপুর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন বলেন, প্রতিটি পরিবারকে স্যালাইন, পাউরুটি, ম্যাচ, মোম, মুড়ি, বিস্কুট, ওষুধ, কয়েল, পলিব্যাগ ও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কষ্ট দেখে তাঁরা নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে এ সহায়তা দিয়েছেন।

ত্রাণ পেয়ে বালুয়াডাঙ্গা এলাকার বৃদ্ধ মরিয়ম বলেন, ‘কদিন থাকি খাবার মুখোত ঢোকে না। এল্যা নিয়া হামার খুব উপকার হইল।’