কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ এরিকসন কার্যালয়

নোটিশ ছাড়া কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ঢাকার এরিকসন কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। ছবি: প্রথম আলো
নোটিশ ছাড়া কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ঢাকার এরিকসন কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। ছবি: প্রথম আলো

কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে একসঙ্গে ৬০ জনকে চাকরিচ্যুত করার ঘোষণা দেওয়ায় বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মীরা। আজ সোমবার গুলশানের এরিকসন বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষুব্ধ কর্মীরা প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্তাদের অবরুদ্ধ করেন। একই সঙ্গে এরিকসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন কর্মীরা।


সরেজমিনে আজ দুপুরে গুলশানের এরিকসন কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একদল কর্মী ভবনের নিচতলায় অবস্থান করছেন। তাঁরা জানান, ভবনের আটতলায় তাঁদের মূল কার্যক্রম চলছে। সেখানে ক্ষুব্ধ কর্মীরা অবস্থান করছেন। কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ওপরে যেতে চাইলে জানানো হয়, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরে যাওয়ার অনুমতি নেই।

এরিকসন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে ৬০ কর্মীকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাওয়া কর্মীরা শ্রম আইন অনুযায়ী স্বেচ্ছা অবসর স্কিম (ভিএসএস) দেওয়ার জন্য কোম্পানির কাছে আবেদন করেন। তবে এ আবেদনে কোনো সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই সোমবার সকাল থেকে শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে।

অবরুদ্ধ থাকা শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে আছেন এরিকসন বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড অ্যাস্টন টড, ভারপ্রাপ্ত হেড অব কান্ট্রি ইউনিট ও প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা আবদুস সালাম প্রমুখ। এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তাঁরা অবরুদ্ধ ছিলেন বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন এরিকসন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন অব বাংলাদেশের (প্রস্তাবিত) সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান।

লুৎফর রহমান প্রথম আলোক বলেন, বাংলাদেশে এরিকসনের ব্যবসা ছোট হয়ে গেছে, এ যুক্তিতে গত এক বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সর্বশেষ ১৭ আগস্ট আরও ৬০ জনকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবসা চালাতে না পারলে ছাঁটাই করে দিক। কিন্তু এর আগে আইন অনুযায়ী কর্মীদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ ছাঁটাইয়ের তালিকায় থাকা এরিকসনের কর্মী আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সাত বছর ধরে এখানে চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করে এসেছি। এখন নামমাত্র অর্থে কোম্পানি বিদায় করে দিতে চাচ্ছে।

এসব বিষয়ে এরিকসন বাংলাদেশের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।