বাল্যবিবাহ থেকে স্কুলছাত্রীর রক্ষা

শেরপুরের নকলা উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পাঠাকাটা ইউনিয়নের একটি গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩)।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত রোববার রাতে মেয়েটির বিয়ের আয়োজন করা হয়। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব কুমার সরকারের নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, পাঠাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত ও সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেয়েটির বাড়িতে যান। তাঁরা মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে কথা বলেন। এ সময় অভিভাবকেরা নিজ আগ্রহে বিয়ে বন্ধ করে দেন। তা ছাড়া, ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকারনামা দেন।

ইউএনও রাজীব কুমার প্রথম আলোকে বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে নকলা উপজেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। তাই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।