শেরপুর ও বিরামপুরে আরও কিছু এলাকা প্লাবিত

দেশের উত্তরের বেশির ভাগ জায়গায় বন্যার উন্নতি হলেও কিছু কিছু স্থানে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে গতকাল সোমবার নতুন কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বগুড়ার শেরপুরে বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আমন ধান ও সবজির খেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। গতকাল বিকেলে পাউবো বগুড়া সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীল বলেন, বাঙ্গালী নদীতে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল পর্যন্ত এই নদীতে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নবাবগঞ্জের কবুলিপাড়ায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দুই উপজেলার নদীসংলগ্ন প্রায় নয় হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘোড়াঘাটের ইউএনও টি এম এ মমিন জানিয়েছেন, করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩০টি গ্রামের ৮০০ পরিবারের চার হাজার লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।