পদ নিয়ে আ.লীগের নেতার হামলা?

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় গোপালচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচনের জের ধরে গতকাল সোমবার দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মহাদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার ও তাঁর সহযোগীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, গত বুধবার বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির চারজন অভিভাবক প্রতিনিধি, তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি, একজন দাতা সদস্য প্রতিনিধি ও একজন সংরক্ষিত নারী অভিভাবক প্রতিনিধি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিভাবক প্রতিনিধি পদে আবদুল আলিম, শরীফুল ইসলাম, ফজলুল হক ও সোহরাব হোসেন নির্বাচিত হন। শিক্ষক প্রতিনিধি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোন্নাফ আলী, রফিকুল ইসলাম ও চিনু রানী বসাক এবং দাতা সদস্য হিসেবে সাবেক সভাপতি আকতারুজ্জামান ও সংরক্ষিত নারী অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে হোসনে আরা বেগম নির্বাচিত হন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচনের জন্য নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুর রহিম খানের নাম প্রস্তাব করেন অভিভাবক প্রতিনিধি ফজলুল হক। অভিভাবক প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এতে সমর্থন করেন। পরে সভাপতি পদে আর কোনো প্রার্থীর নাম প্রস্তাব না করায় আবদুর রহিম সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। সভা শেষ হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা বাবুল আকতার তাঁর লোকজন নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে যান। সভাপতি পদে তাঁর (বাবুল) নাম প্রস্তাব না করায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিভাবক প্রতিনিধি সোহরাবকে মারধর করেন। তাঁকে রক্ষা করতে গেলে নির্বাচিত কয়েকজন প্রতিনিধি সদস্যকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জালাল হোসেন, তাঁর ছেলে শুভ সরকার, স্থানীয় আবদুর রাজ্জাকসহ আরও কয়েকজন বিদ্যালয়ে যান। এ সময় তাঁদেরও মারধর করা হয়। আহতাবস্থায় অভিভাবক প্রতিনিধি সোহরাবসহ তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আবদুর রহিম খান হজের উদ্দেশে সৌদি আরবে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খবির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

বাবুল আকতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর লোকজনের সঙ্গে জালাল সরকারের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এটা তেমন কিছু না।