ঈদের দিন যুবলীগের সংঘর্ষ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় গত শনিবার ঈদের দিন সকালে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজন গতকাল সোমবার মারা গেছেন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আরও ২২ জন আহত হন। চিৎলা ইউনিয়নের বড় হাপানিয়া গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বোমা হামলা, গুলিবর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করেছে।

আহত ১৬ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এবং ৭ জনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত জয়নাল আবেদীন নামের একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে মারা যান তিনি।

সংঘর্ষের ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ এনে ঘটনার দিনই আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

 সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিরা চিৎলা ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইউপি সদস্য ইনতাজুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল ইসলামের অনুসারী। মহিবুল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভাই এবং ইনতাজুল ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

সরেজমিনে জানা গেছে, হাপানিয়া মদিনাতুল উলুম সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার মালিকানাধীন ছয় বিঘা আয়তনের একটি আমবাগান বন্দোবস্ত দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইনতাজুল ও মহিবুলের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। কয়েকজন মুসল্লি জানান, ঈদের নামাজের পরপরই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে জয়নাল ও আজিরুলকে  ঢাকা ও রাজশাহীতে পাঠানো হয়। আহত আবদুল ওহাবকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ এবং অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইনতাজুল অভিযোগ করেন, তাঁকে হত্যা করতেই প্রতিপক্ষের লোকেরা প্রস্তুতি নিয়ে ঈদগাহ মাঠে এসেছিলেন। সংঘর্ষের সময় যুবলীগের নেতা মহিবুল ইসলাম তাঁর কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েছেন। অপরদিকে মহিবুলের ভাই  দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, ইনতাজুলের পিস্তলের গুলিতেই জয়নাল মারা গেছেন।