ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে দ্বিগুণ বাসভাড়া আদায়

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কর্মস্থলে ফিরতে দ্বিগুণ বা তারও বেশি বাসভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে ঢাকায় ফিরতে ৪০০ টাকার বাসভাড়া সাড়ে ৮০০ টাকা এবং চট্টগ্রাম ফিরতে ৭০০ টাকার ভাড়া দেড় হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঈদের ছুটি শেষে ফিরতে প্রতিটি কাউন্টারে এ অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

ঈদের নবম দিনের (১০ সেপ্টেম্বর) বনফুল পরিবহনের পাথরঘাটা কাউন্টার থেকে ঢাকার অগ্রিম টিকিট নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাওন গাজী। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, পাথরঘাটা থেকে অগ্রিম টিকিট নিয়েছি ৭০০ টাকায়, যা আগে ভাড়া ছিল ৪০০ টাকা। তবে বর্তমানে ওই ৪০০ টাকার বাসভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা।

পাথরঘাটার তালতলা বাস টার্মিনালের কয়েকজন যাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, পাথরঘাটা থেকে ঢাকার সায়েদাবাদে চলাচলকারী বাসগুলোতে আগে ভাড়া ছিল ৪০০ টাকা। এখন আদায় করা হচ্ছে ৮০০ টাকা। একইভাবে গাবতলীতে চলাচলকারী বাসগুলোতে আগে ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা। এখন আদায় করা হচ্ছে ৮৫০ টাকা। এ রুটে ঈদ শেষে বাসভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ।

পাথরঘাটার নতুন বাজার বাস টার্মিনালের কয়েকজন যাত্রী বলেন, এ রুটের ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী বাসের ভাড়াও বেড়েছে দ্বিগুণ বা তার বেশি। পাথরঘাটা থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ রুটে সুগন্ধা, বনফুল ও হামিম পরিবহনে আগে ৪৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। এখন আদায় করা হচ্ছে ৭৫০ টাকা। একইভাবে গাবতলী রুটের সুরভি ও সাকুরা পরিবহনে আগে ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা। এ রুটে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

আর চট্টগ্রামগামী পরিবহনে বাসভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। পাথরঘাটা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী রাখি, ব্যাপারী, আবদুল্লাহ, শতাব্দী ও সাউদার্ন পরিবহনে আগে ৭০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। এখন আদায় করা হচ্ছে দেড় হাজার টাকা, যা দ্বিগুণের বেশি।

দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে চট্টগ্রামগামী আবদুল্লাহ পরিবহনের পাথরঘাটা কাউন্টার প্রতিনিধি খোকন আকন গতকাল বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে শুধু আমরা না, সব পরিবহনেই বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।’

একই কথা জানিয়েছেন ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের পাথরঘাটা কাউন্টার প্রতিনিধি বাদশা হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে ৬৫০ টাকা নিতাম। ঈদ শেষে কর্তৃপক্ষ ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা নিতে বলেছে। আমরা আরও ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮০০ টাকা নিচ্ছি।’

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. কামরুল হুদা গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।