মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে গণজাগরণ মঞ্চ

রোহিঙ্গা গণহত্যা ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে এবং পরে নাগরিক র‍্যালি করে। ছবি: সাইফুল ইসলাম
রোহিঙ্গা গণহত্যা ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে এবং পরে নাগরিক র‍্যালি করে। ছবি: সাইফুল ইসলাম

তিন দিনের মধ্যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না হলে সোমবার ঢাকার মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে গণজাগরণ মঞ্চ। আজ শুক্রবার বিকেলে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে ‘ঢাকা র‍্যালি’ শেষে এই ঘোষণা আসে।

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে নাগরিক র‍্যালিটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে আবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাবেশ শেষে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, শান্তির জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, সেই শান্তি বিনষ্ট করায় অবিলম্বে নোবেল পুরস্কার স্থগিত করা উচিত। মিয়ানমারে এ ধরনের নির্বিচারে মানুষ হত্যা, জাতিগত নিপীড়ন নোবেল কমিটির লজ্জা, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য লজ্জা।

এ সময় ইমরান এইচ সরকার পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় গুলশান ২ নম্বর মোড় থেকে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন।

ঢাকা র‍্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। নারী ও শিশুদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তাঁরা ‘প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসো, রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ কর’, ‘হে বিশ্ব মানবতা জাগ্রহ হও’, ‘ধর্ম নয়, মানবতার বিচারে নারী ও শিশু হত্যা বন্ধের জন্য জাগ্রত হও’, ‘স্টপ রোহিঙ্গা জেনোসাইড’, ‘গিভ রোহিঙ্গা পিপল রাইট টু লিভ’, ‘রেইজ ইউর ভয়েস টু স্টপ এথনিক ক্লিনসিং অব রোহিঙ্গা’ এসব লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

র‍্যালি থেকে মিছিল ওঠে ‘মিয়ানমারের গণহত্যা, বন্ধ কর, করতে হবে’, ‘মাতৃভূমির অধিকার, ফিরিয়ে দাও দিতে হবে’, ‘মিয়ানমারে শিশু হত্যা, বন্ধ কর, করতে হবে’ ইত্যাদি।