রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের কৃপণতা নেই

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। প্রথম আলো ফাইল ছবি

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাওয়া বা চিকিৎসার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কোনো কৃপণতা নেই বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। আজ রোববার সংসদ অধিবেশনে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য দুই হাজার একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ধরনের কৃপণতা নেই। এ ছাড়া ঠেঙ্গার চরে ১০ হাজার একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের আপাতত রাখা হবে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চলবে।
ত্রাণমন্ত্রী রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি না করা এবং ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে এবং দুস্থ মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অভাবনীয় অবস্থা। রোহিঙ্গারা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে এ দেশে আসছে। একজন বৃদ্ধকে কাঁধে নিয়ে আরেকজন ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে, সাঁতরে নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
কামাল আহমেদ মজুমদারের মৌখিক প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, বন্যাকবলিত ৩৫টি জেলায় জিআর চাল ৩৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, নগদ টাকা ১২ কোটি ৫০ লাখ, শুকনো খাবার ৯০ হাজার ৫০০ প্যাকেট, ঢেউটিন ৫ হাজার বান্ডিল ও গৃহনির্মাণে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হাওর অঞ্চলের ছয়টি জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ৭১ হাজার ৪০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল ও ১১৪ কোটি টাকা বিশেষ অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।