
সবাই চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হোক। কিন্তু গত ২৭ বছরেও সেই নির্বাচন হয়নি। সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বড় দুটি ছাত্রসংগঠন—ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল দৃশ্যত এই নির্বাচনের বিরোধিতা করেনি। কিন্তু ওই নির্বাচন আয়োজনে চারটি পক্ষের কারোরই উদ্যোগ, আগ্রহ বা চাপ ছিল না।
এই দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও নির্বাচনের জোরালো দাবি ওঠেনি। অথচ এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি, সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনসহ সব সংগঠনের নির্বাচন নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ কয়েকটি বাম ছাত্রসংগঠন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। এসব সংগঠন গত ১০ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে। ছাত্রলীগ ওই আলোচনায় অংশ নেয়নি। উল্টো এতে অংশ নিতে আসা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সরকার-সমর্থক ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে।
গত ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ইজ আ মাস্ট। নির্বাচন না হলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে শূন্যতার সৃষ্টি হবে।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার নতুন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সৌজন্য সাক্ষাতে ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ ওঠে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত সমাবর্তনে মহামান্য আচার্যই আমাদের ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে অনুশাসন দিয়েছিলেন। সে বিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতিসহ সব বিষয় বিবেচনা করে এটা অবশ্যই করা উচিত।’
আচার্য চাইলেও নির্বাচন হয় না কেন—এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে পাওয়া যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। অন্যদিকে ১৯৯০ সালের পর দুই দফা বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে ততটা আগ্রহী ছিল না। তখন ছাত্রলীগ নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার অভিযোগ তুলে ওই নির্বাচনে আগ্রহ দেখায়নি।
একইভাবে নব্বই-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ তিন দফা ক্ষমতায় থাকলেও ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের আগ্রহ দৃশ্যমান হয়নি। উল্টো সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ছাত্র সংসদের বিকল্প ভূমিকা পালন করেছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নেওয়ার পরপরই সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাবারের সমস্যা, যাতায়াত সমস্যাসহ সব বিষয়ে ডাকসুর ভূমিকা পালন করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডাকসু নির্বাচন সব সময় চাই। কিন্তু এটা আমাদের আয়োজনের বিষয় নয়। প্রশাসন আয়োজন করলে আমরা তাতে অংশ নেব।’
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা হলো সরকার চায় না বলেই ডাকসু নির্বাচন হয় না। সরকার ভাবে, নির্বাচন হলে ছাত্রদের মতামত তাদের পক্ষে না-ও যেতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, ডাকসুর প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২৪ সালে। ১৯৫৩ সালের আগ পর্যন্ত ডাকসুর সহসভাপতি মনোনয়ন করা হতো। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন হয়। ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সাতবার ডাকসু নির্বাচন হয়। ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশে ২০ ধারা অনুযায়ী, সিনেটের ১০৫ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি থাকার কথা, যাঁরা ডাকসুর মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসবেন। কিন্তু দিনের পর দিন নির্বাচন না হওয়ায় খণ্ডিত সিনেট নিয়েই সভা বসছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের সামরিক সরকারের সময় প্রায় নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। কেবল ১৯৬৫-৬৬ ও ১৯৬৯-৭০ সালে নির্বাচন হয়নি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের শুরুতেই (১৯৭২-৭৩) ডাকসু নির্বাচন হয়। ১৯৭৩-৭৪ সালেও নির্বাচন দেওয়া হয়েছিল, তবে সেটা পণ্ড হয়ে যায়। এরপর জিয়াউর রহমানের আমলে দুবার (১৯৭৯-৮০ ও ৮০-৮১), আবদুস সাত্তার সরকারের আমলে একবার (১৯৮২-৮৩) এবং এরশাদের আমলে দুবার (১৯৮৯-৯০ ও ১৯৯০-৯১) ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের স্বৈরশাসনের পতনের পর গত ২৭ বছরে আর এই ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি।
উচ্চ আদালতে দুটি রিট
ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে গত পাঁচ বছরে উচ্চ আদালতে পৃথক দুটি রিট আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু জবাব দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১২ সালের ২১ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থী। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল দেন।
সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিন বছর ধরে রুল শুনানির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা শুনানিতে সময় নিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ এখনো রুলের জবাব দেয়নি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাহবুবে আলম ও এ এফ এম মেসবাহউদ্দিন।
ডাকসুর (১৯৮৯-৯০) সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুশতাক হোসেন এবং একজন শিক্ষার্থী গত ১৬ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন, যার ওপর ১৯ মার্চ হাইকোর্টে শুনানি হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সেদিনই আদালত রুল দেন।
রুলে নির্ধারিত সময়ে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, এখনো রুলের জবাব হাতে আসেনি। অবকাশকালীন ছুটি শেষে বিষয়টি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ের উপরেজিস্ট্রার ফারহানা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের নিয়ম অনুযায়ী রিট দুটির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ছয় উপাচার্যের মেয়াদ পার, নির্বাচন হয়নি
গত ২০ বছরে ছয়জন অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে চার বছরের পূর্ণ মেয়াদ বা তার বেশি সময় ছিলেন এ কে আজাদ চৌধুরী, এস এম এ ফায়েজ এবং আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আগের সাত বছরে তিনবার তফসিল ঘোষণা করেও নির্বাচন দেওয়া যায়নি। ফলে এই তিনজনসহ ছয়জনের কেউই ওই পথ মাড়াননি।
সদ্য সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক ২০০৯ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর গণমাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের কথা বললেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। সাড়ে আট বছরে একবারও নির্বাচনের উদ্যোগ নেননি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বলেছেন, নির্বাচন দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে পারে।
ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৬ জুন। তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৯৮ সালে ডাকসুর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। মাঝেমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। সিনেটে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু তাতে ফল হয়নি। ২০১২ সালে বিক্ষোভ, ধর্মঘট, কালো পতাকা মিছিল এবং ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ তৈরি করে লাগাতার কর্মসূচিও চলে বেশ কিছুদিন।
এরপর বিভিন্ন সময় ডাকসুর নির্বাচনের দাবি উঠলেও সেটা খুব জোরালো ছিল না। চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে এই দাবিটি আবার সামনে আসে। গত ২৯ জুলাই ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃত্বে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর নতুন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যেসব কম্পোনেন্ট অংশ নেয়, তার মধ্যে ডাকসু খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের সঙ্গে এই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১৯৯০ সালের নির্বাচনের পর ১৯৯১ সালের ১৮ জুন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য মনিরুজ্জামান মিঞা নির্বাচন বন্ধ করে দেন। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে পরপর দুবার উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসুর তফসিল ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তখন ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে নির্বাচন হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী উপাচার্য হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে একাধিকবার ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমার কথা জানিয়েছিলেন।
অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সেই সময়কার বিরোধী ছাত্রসংগঠনসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের অসহযোগিতার কারণে নির্বাচন দেওয়া যায়নি।
সর্বশেষ ২০০৫ সালের মে মাসে উপাচার্য এস এম এ ফায়েজ ওই বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তখন ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে একাধিকবার মিছিল, সমাবেশ ও উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়। কিন্তু বিরোধিতা করে ছাত্রলীগ।
নির্বাচন চায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধিত্বশীল সব ছাত্রসংগঠনই ডাকসু নির্বাচন চায়। দৃশ্যত এ নিয়ে কারও আপত্তি নেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই ডাকসুসহ সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক। ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে ছাত্রলীগ সাবেক উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছিল, বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গেও বলবে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুধু ডাকসু নির্বাচন নয়, সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি আমরা অনেক দিন ধরে জানিয়ে আসছি।’ তবে তাঁর মতে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পূর্বশর্তই হচ্ছে রাজনৈতিক সহাবস্থান, যা কোথাও এখন আর নেই।
ছাত্রলীগ থেকে ১৯৬৮-৬৯ সালে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন তোফায়েল আহমেদ। তিনি এখন বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৭ বছরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়াটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির কারখানা। ডাকসু থেকে বহু ছাত্রনেতা জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন। ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালেয়র ছাত্র সংসদ কার্যকর না থাকায় বর্তমান ছাত্ররাজনীতি গৌরব হারিয়েছে।’
ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে পারে, এমন কথা বলে এই নির্বাচন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, অনতিবিলম্বে ডাকসুসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া উচিত।’