শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: রায় ২৯ অক্টোবর

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ২৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে। ফাইল ছবি
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ২৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে। ফাইল ছবি

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা দুটি মামলায় ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ বছর আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। ওই ঘটনায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়। দুটি মামলা একই বিচারকের আদালতে বিচারাধীন আছে। ২৯ অক্টোবর দুটি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। তিনি আরও বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে। আর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাড়িতেই থাকতেন। ঘটনার সময় তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করেন। হামলাকারীরা ‘কর্নেল ফারুক-রশীদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, লে. কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।