যশোরের বাড়িটি থেকে বিস্ফোরক-অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

যশোর শহরতলির পাগলাদহ এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে সোমবার রাতে অভিযান শেষ হয়। পুলিশ ওই বাড়িটি থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্রগুলি জব্দ করেছে। তবে কাউকে আটক করেনি। ছবি: প্রথম আলো
যশোর শহরতলির পাগলাদহ এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে সোমবার রাতে অভিযান শেষ হয়। পুলিশ ওই বাড়িটি থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্রগুলি জব্দ করেছে। তবে কাউকে আটক করেনি। ছবি: প্রথম আলো

যশোর শহরতলির পাগলাদহ এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে অভিযান শেষ হয়েছে। সোমবার রাত ১০টায় অভিযান শেষ হয়। পুলিশ ওই বাড়িটি থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্রগুলি জব্দ করেছে। তবে কাউকে আটক করেনি।

অভিযান শেষে ওই বাড়ির সামনে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান। তিনি জানান, ওই বাড়ির মালিক মোজাফ্ফর হোসেনকে জেলা শহর থেকে আগেই আটক করা হয়। তাঁর দেওযা তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে ওই বাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র মজুত রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িটি ঘেরাও করে রাখা হয়।

এসপি জানান, বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেনেড তৈরির ৫০টি ‘বডি’, একই সংখ্যক সুইচ, একটি পিস্তল, চারটি গুলি, তিনটি ম্যাগজিন, ১০ লিটার অ্যাসিড এবং ২৫টি বিস্ফোরক জেল জব্দ করা হয়েছে। ওই বাড়িতে জঙ্গিদের আনাগোনা ছিল। আটক করা মোজাফফর জেএমবির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। অভিযানের সময় বাড়িটিতে তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে উপস্থিত ছিলেন। অপর এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তাঁদের কাউকে আটক করা হয়নি। তবে তাঁদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যা থেকে অন্তত পুলিশের ১০০ সদস্য বাড়িটির চারপাশে অবস্থান নেন।

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ৯ অক্টোবর রাত দুইটা থেকে পুলিশ যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া সড়কের একটি বাড়ি ঘিরে রাখে। পরদিন বিকেল সোয়া পাঁচটায় ওই বাড়ি থেকে তিন সন্তানসহ খাদিজা আকতার নামের এক নারী আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের কয়েকটি দল ১৫ ঘণ্টা ধরে ওই বাড়িতে ‘অপারেশন মেল্টেড আইস’ চালায়।

খাদিজা রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত এবং পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত নুরুল ইসলাম মারজানের বোন এবং নব্য জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলপ্রধান হাদিছুর রহমান ওরফে সাগর ওরফে মশিউর রহমানের স্ত্রী।