আত্মহত্যার প্ররোচনা: বাবা-মাসহ প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

শামছুন নাহার চাঁদনী
শামছুন নাহার চাঁদনী

খুলনার সরকারি করনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শামছুন নাহার চাঁদনীর (১২) আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় উত্ত্যক্তকারী অভিযুক্ত শামীম হাওলাদার এবং তাঁর বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাটি গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে লবণচরা থানা-পুলিশ।

শুভর বাবার নাম শাহ আলম হাওলাদার ও মায়ের নাম জাকিয়া বেগম। তাঁদের গ্রেপ্তার করে রাত নয়টার দিকে খুলনা সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, চাঁদনীর আত্মহত্যার পর থেকেই প্রধান আসামি শামীম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক ছিলেন। শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডুমুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে চাঁদনীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন শামীম। ১৩ অক্টোবর রাতে শুভ কয়েকজন বখাটেকে নিয়ে চাঁদনীর বাবাকে মারধর করেন। বাবা রবিউল ইসলামকে লাঞ্ছিত হতে দেখে ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে চাঁদনী।

ঘটনার পরের দিন রাতে চাঁদনীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শামীম হাওলাদার এবং তাঁর বাবা শাহ আলম হাওলাদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে লবণচরা থানায় মামলা করেন চাঁদনীর বাবা রবিউল ইসলাম। এ ঘটনায় মাফিয়া কবির নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে তিন দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়।