নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আমিনা বেগম ওরফে হ্যাপি (২০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা তাতেরকাঠী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আমির হোসেন তাঁর জামাতা আরিফ হোসেন কাজীসহ চারজনকে আসামি করে বাউফল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে ছয়হিস্যা তাতেরকাঠী গ্রামের আরিফ হোসেন কাজীর (২৬) সঙ্গে পাশের কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের হ্যাপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় স্বামী ও তাঁর স্বজনেরা যৌতুকের দাবিতে হ্যাপিকে নির্যাতন করে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে যৌতুক না দেওয়াকে কেন্দ্র করে হ্যাপির সঙ্গে শাশুড়ি মনোয়ারা বেগমের কথা-কাটাকাটি হয়। ওই সময় শ্বশুর দুলাল কাজী ও ননদ বীথি বেগমও হ্যাপিকে গালাগাল করেন। একপর্যায়ে তাঁরা হ্যাপিকে মারধর করে চলে যান। এ ঘটনার পর হ্যাপি সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে এবং মনোয়ারা বেগমকে আটক করে। ঘটনার পর থেকে হ্যাপির স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
হ্যাপির বাবা আমির হোসেন অভিযোগ করেন, আরিফ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের কারণে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শাশুড়িকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।