রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কামালউদ্দিন আহম্মেদ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ যে সাক্ষী উপস্থাপন করেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য। রাষ্ট্রপক্ষ অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছে, যার কারণে আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।’

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা রায়ের পর অভিযোগ করেছেন, এটি রাজনৈতিক রায়। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মো. কামালউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক কোনো সাক্ষীকে এখানে উপস্থাপন করা হয়নি। যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁরা তত্কালীন সরকারের উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা। তাই এটি রাজনৈতিক হয়রানি নয়। এই মামলা দুটিকে অন্য সাধারণ মামলার মতো দেখা সমীচীন হবে না। এটি নজিরবিহীন ঘটনা, স্পর্শকাতর মামলা। এ ধরনের ঘটনার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত।’

এর আগে মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশকে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট রায় বলে মন্তব্য করেন আসামিদের একজন আইনজীবী কামরুল ইসলাম। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এ মামলাটি হাই প্রোফাইল মামলা। রায়টি হাই প্রোফাইল পলিটিক্যাল। কোনো চোরাচালান মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রেকর্ড এটি প্রথম। এ রায় আমরা মানি না। আমরা সংক্ষুব্ধ। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অস্ত্র আটক মামলার দুটি ধারায় এই ১৪ জনকে যাবজ্জীবন ও সাত বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার প্রায় পৌনে ১০ বছর পর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল নগরের চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) জেটিঘাটে খালাসের সময় দেশের ইতিহাসে অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান আটক হয়।

অস্ত্র আটকের ঘটনায় ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল কর্ণফুলী থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় একটি এবং ১৮৭৮ সালের ১৯(এ) ধারায় অস্ত্র আইনে অপর একটি মামলা করা হয়। দুটি মামলারই বাদী কর্ণফুলী থানার তত্কালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান।