বিশ্ব ইজতেমা: অভূতপূর্ব মহাসমাবেশ

বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: প্রথম আলো
বিশ্ব ইজতেমায় নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: প্রথম আলো

তাবলিগ জামাতের তিন দিনের বার্ষিক সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমা নামে পরিচিত। প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। এমনও বলা হয় যে আখেরি মোনাজাতের দিন প্রায় ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হয় তুরাগ নদের পাড়ে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা এই ইজতেমায় অংশ নেন। এখানে প্রায় ৩০-৪০ হাজার বিদেশি তাবলিগ জামাতের অনুসারী বা সাথি (তাবলিগ জামাতের ভাষায় অনুসারীদের সাথি বলে সম্বোধন করা হয়) অংশগ্রহণ করে থাকেন। বিশ্বের ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা এই বার্ষিক ইজতেমায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। অংশগ্রহণকারীদের স্থান সংকুলানের জন্য বিশ্ব ইজতেমার সংগঠকেরা দুই পর্বে এই আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১১ সাল থেকে দুই দফায় ইজতেমা আয়োজিত হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমা আরও বেশিসংখ্যক অনুসারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যার বিবেচনায় হজের পরই বাংলাদেশের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে বলা হয় বৃহত্তম মুসলিম সম্মিলন। সাম্প্রতিক সময়ে ইজতেমায় নারী সদস্যদের অংশগ্রহণও বাড়ছে। মহিলারা সাধারণত আশপাশের বাসাবাড়ি দুই-তিন দিনের জন্য ভাড়া নিয়ে অবস্থান করেন।
বিশ্ব ইজতেমা যদিও তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মিলন, এর মানে এই নয় যে এখানে যাঁরা অংশগ্রহণ করেন তাঁরা সবাই তাবলিগ জামাতের অনুসারী। অনেক সাধারণ মানুষ বিশ্ব ইজতেমায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকেন। বিশেষ করে বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিনের আখেরি মোনাজাতের দিন, ঢাকা শহরের মানুষের যেন ঢল নামে টঙ্গীর তুরাগপারে। বিশ্ব ইজতেমার জনপ্রিয়তা এখন এতটাই যে অনেক রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেল আখেরি মোনাজাত সরাসরি সম্প্রচার করে। বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি ধারণা কাজ করে, তা হলো এখানে অংশগ্রহণ করে তাঁরা স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে একটি আত্মিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন।
বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা ও বয়ান করে থাকেন। বিংশ শতকের বিশ দশকের কোনো এক সময় তাবলিগ জামাতের যাত্রা শুরু হয় মাওলানা ইলিয়াস (র.)–এর প্রচেষ্টায় ভারতের দিল্লির মেওয়াত এলাকায়। এরপরের দশক থেকেই তাঁরা বার্ষিক ইজতেমা আয়োজন করে আসছেন বলে বিভিন্ন লেখায় পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম ইজতেমা আয়োজিত হয় ১৯৫৪ সালে লালবাগ শাহি মসজিদে। ১৯৬৬ সাল থেকে ইজতেমা টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আয়োজিত হয়ে আসছে মানুষের ক্রমাগত আগ্রহের কারণে। তখন থেকেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে এ আয়োজন। স্বাধীনতার পরপরই প্রায় ১৬০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয় তাবলিগ জামাতের ইজতেমা আয়োজন করার জন্য।
আমার এক বন্ধুর উৎসাহে ১৯৯৫ সালে প্রথমবার বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করি। তবে তাবলিগ জামাত সম্পর্কে আমি আগে থেকেই জানতাম। কারণ, আমার বাসার আশপাশে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষই তাবলিগের নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। এ ছাড়া আখেরি মোনাজাতের ‍দিন তুরাগমুখী ঢাকার মানুষের যাত্রাও আমাদের মনে নানাভাবে দাগ ফেলে। দীর্ঘদিন পর যখন আমি গবেষণার উদ্দেশ্যে আবারও বিশ্ব ইজতেমায় যাই, অন্য এক চোখ নিয়ে তখনো বিশ্ব ইজতেমার অনেক কিছু সেই আগের মতোই লাগল। আবার অনেক পরিবর্তনও চোখে পড়ল। ২০০৯ ও ২০১০ সালে আবার বিশ্ব ইজতেমায় যাই গবেষণার জন্য। দুবারই আমি অবাক হয়ে দেখলাম, ইজতেমায় মানুষের অংশগ্রহণ অনেক বেড়ে গেছে। একটা প্রশ্নও মাথায় এল, তা হলো এত বৃহৎ একটি গণজমায়েত তাঁরা কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা করে আসছেন?
আমি আমার এলাকার তাবলিগ জামাতের একটি দলের সঙ্গী হয়ে বিশ্ব ইজতেমায় যাই। এই দল আমার আগেই ইজতেমার মাঠে চলে যায়। আমি আমার এক ডাক্তার বন্ধুসহ পরদিন যোগ দিই। আমরা শুধু জানতাম খিত্তা ও খুঁটি নম্বর। সেই সময় ইজতেমার মাঠকে ৩৩টি ভাগে ভাগ করা হতো, প্রতিটি ভাগকে বলা হয় খিত্তা। প্রতিটি খিত্তার মধ্যে হাজারের ওপর খুঁটি নম্বর দেওয়া থাকে। এই খিত্তা ও খুঁটি নম্বর এমনভাবে টানানো থাকে যেন দূর থেকে সবাই দেখতে পায়। এটা ক্রমানুসারে সাজানো থাকে ইজতেমার প্রবেশপথ থেকেই। এ ব্যবস্থা যেন একটি উন্নত বিশ্বের সড়ক ও বাড়ির নম্বরের মতো। কয়েক লাখ মানুষের জমায়েতের মধ্যে যদি আপনি এই দুটি নম্বর জানেন, আপনি অনায়াসেই একটি ছোট জামাত (দল) খুঁজে বের করতে পারবেন। ইজতেমায় এই দুটি নম্বরের পাশাপাশি বিভাগ ও জেলার নামও লেখা থাকে।
আমরা ইজতেমা মাঠে প্রবেশের সময় খেয়াল করলাম সবাই যাঁর যাঁর ডান দিকে হাঁটছেন। একটু পরপরই আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের দেখা পেলাম। তাঁদের প্রত্যেককেই আমি বলতে শুনছিলাম, ‘যার যার ডানে চলি। জিকিরের সাথে চলি।’ সবাই তাঁদের এই নির্দেশনা শুনে সামনে এগোচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবকদের নিরবচ্ছিন্ন নির্দেশনা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করতে সহায়তা করছিল। এমনকি কারও মধ্যে আমরা একজনকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখলাম না। বরং কাউকে কাউকে বলতে শুনলাম, ‘আপনি আগে যান, আমি আপনার পরে যাব।’ একটু পরেই আমরা দুজন আমাদের স্থানীয় দলকে খুঁজে পেলাম। ইজতেমায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় দুপুর হয়ে যায়। নামাজের পরই আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিই। খাবারের বিষয়টা অন্য রকম। একটি বড় প্লেটে চার থেকে পাঁচজন একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার নিয়ম তাঁদের। প্রতিটি দল তাদের নিজস্ব খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে। তাঁরা সবাই রান্না করেন এবং দলের সবাই মিলে খাবারের খরচ বহন করেন সমান হারে।
আমি ইজতেমা শুরুর আগে একবার টঙ্গী যাই দেখতে কীভাবে তাঁরা এই বৃহৎ কাজ করেন। সেখানেও দেখলাম সারা দেশ থেকে নানা বয়সের মানুষ চলে আসছে ময়দানের বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে পুরো মাঠটি ছাউনি দিয়ে ঢেকে ফেলার জন্য। স্থানীয় স্কুল–কলেজের ছাত্র, মাদ্রাসার ছাত্র, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ তাঁদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ইজতেমার প্রস্তুতির যাবতীয় কাজ করে থাকেন। এখানে সেসব মানুষের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। অনেক প্রকৌশলী আছেন যাঁরা নানা রকম অস্থায়ী স্থাপনা এবং পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরির সময় তদারক করেন। তাঁরা আবার পুরো মাঠের নকশাও করে দিয়ে থাকেন। এই সমগ্র কাজের পরিকল্পনা ও শ্রমবিভাজন করা হয় কাকরাইল মসজিদ থেকে, যা তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশের কেন্দ্র। আর আমরা এটাও দেখি যে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা রকম চিকিৎসা–সহায়তা দিয়ে থাকে। আশপাশের হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। ডাক্তারদেরও সর্বক্ষণ তৈরি থাকার নির্দেশনা থাকে সরকারের তরফ থেকে।
বাংলাদেশে ইজতেমার শুরুর দিক থেকেই সরকার ইজতেমার পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে নানাভাবে। নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা এবং এমনকি আখেরি মোনাজাতের দিনে বিশেষ পরিবহনব্যবস্থা ও ট্রেনের ব্যবস্থা থাকে সরকারি মহল থেকে। প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ডেসকো এই তিন দিনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের যাবতীয় ব্যবস্থা করে আসছে। এ ছাড়া জেনারেটরের ব্যবস্থা তো থাকেই। সমগ্র দেশ থেকে আগত এই বিশালসংখ্যক মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে রাষ্ট্রের সব নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে। মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে বিআরটিসি বিভিন্ন রুটে শতাধিক বাস ও বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০-৩০টি ট্রেনের ব্যবস্থা করে থাকে আখেরি মোনাজাত সামনে রেখে। এই বিশাল আয়োজন যেমন দেশের একটি ভাবমূর্তির বিষয়, তেমনি অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্র নিজ উদ্যোগেই করছে। তাবলিগ জামাতের ইজতেমা যেন সহজ হয় সে জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ইজতেমা মাঠে স্থায়ী ও পাকা শৌচাগার, অজুখানা, বিদেশি মুসল্লিদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা, অস্থায়ী ভিত্তিতে রাস্তাঘাট, পুল ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। মুসল্লিদের তুরাগ নদী পারাপারের জন্য প্রতিবছরই বেশ কিছু ভাসমান সেতু নির্মাণ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা।
যে আত্মত্যাগের কথা আমরা ইসলামে দেখি, তাবলিগ জামাত যেন সেই আত্মত্যাগেরই একটি নিদর্শন। এই ত্যাগের চর্চাই তাঁদের এমন শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে সাহায্য করে। অন্যের জন্য নিজের সুখ বা আরাম-আয়েশকে বিসর্জন দেওয়ার চর্চা করার মাধ্যমে তাঁরা জাগতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন এবং এর মাধ্যমে তাঁদের এমন একটি ‘সহজ ও সরল’ পরিচিতি তৈরি হচ্ছে, যা তাঁদের অন্যদের থেকে আলাদাভাবে তুলে ধরছে। আমাদের ব্যক্তি জীবনে যদি আমরা এমন শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন পদ্ধতির চর্চা করতে পারতাম, তাহলে আমাদের সমাজের অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যেত।

বিশ্ব ইজতেমার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন

ইজতেমা শুরুর কথা যদি বলতেন?
গিয়াস উদ্দিন: ১৯৪৬ সালে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার কাকরাইল মসজিদে। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামে তৎকালীন হাজি ক্যাম্পে ইজতেমা হয়, ১৯৫৮ সালে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর ইজতেমায় মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে ইজতেমা গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আয়োজন করা হয়।
এখন তো ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়, এটা কেন?
গিয়াস উদ্দিন: প্রতিবছরই মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়ছিল। একসময় দেখা গেল ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হতে শুরু করেছে। এ কারণেই ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়।
ইজতেমার জন্য বর্তমানে কী পরিমাণ জায়গা রয়েছে?
গিয়াস উদ্দিন: টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে সরকারি হুকুমদলকৃত ১৬০ একর জমি রয়েছে। সেখানে সরকারিভাবে স্থায়ী শৌচাগার, অজুখানা তৈরি করা হয়েছে।
ইজতেমায় আসা বিদেশি মুসল্লির সংখ্যা কেমন?
গিয়াস উদ্দিন: প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের তাবলিগি দ্বীনদার মুসলমান জামাতসহ বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসেন।
ইজতেমা আয়োজনের তারিখ নির্ধারণ করা হয় কীভাবে?
গিয়াস উদ্দিন: প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিনে মুরব্বিদের সঙ্গে বৈঠক করে দিন–তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত বছরের জানুয়ারি মাসের
তৃতীয় সপ্তাহের শুক্রবার আমবয়ান এবং বাদ জুমা থেকে বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।
বিশ্ব ইজতেমার প্রধান উদ্দেশ্য কী?
গিয়াস উদ্দিন: দেশ–বিদেশের আলেম-ওলামাদের কাছ থেকে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান শুনে আখেরি মোনাজাত করে ইমান-আমলের দাওয়াত সারা বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া।
ইজতেমা আয়োজনে কোনো সমস্যা আছে কি?
গিয়াস উদ্দিন: টঙ্গী রাজধানীর কাছে। তাই সেখানে দিনে দিনে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। একশ্রেণির লোক বিভিন্ন কৌশলে ইজতেমার জমি দখল করছে। এতে জমির পরিমাণ দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কমছে তুরাগ নদের পার দিয়ে। এভাবে দখল হতে থাকলে একসময় ইজতেমা ময়দান আরও ছোট হয়ে যাবে।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাসুদ রানা, গাজীপুর

ড. বুলবুল সিদ্দিকী: সহকারী অধ্যাপক, রাজনীতি ও সমাজতত্ত্ব বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।