শিশুর মাকে ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

কুমিল্লায় পেটে শিশু রেখে অস্ত্রোপচার করার ঘটনায় শিশুটির মা খাদিজা আক্তারকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

কুমিল্লার লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ক্ষতিগ্রস্ত নারী খাদিজা আক্তারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে।

পেটে শিশু রেখে যে চিকিৎসক সেলাই করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আগ পর্যন্ত তাঁকে অস্ত্রোপচার না করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক হলেন হোসনে আরা।

খাদিজা আক্তার নামের এক নারীর যমজ সন্তানের একজনকে ভূমিষ্ঠ করে আরেকজনকে পেটে রেখেই সেলাই করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর হাইকোর্ট গত ২৯ অক্টোবর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তিনজনকে তলব করেন। ওই তিনজন হলেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন, অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক হোসনে আরা এবং কুমিল্লার গৌরীপুরের লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা আইনজীবী মাহফুজুর রহমান শুনানিতে অংশ নেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল মতিন খসরু। আর চিকিৎসক হোসনে আরার পক্ষে ছিলেন এ কে এম সোহেল রানা।