গাছের সঙ্গে শত্রুতা

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার হরিপুর গ্রামের আবদুস সামাদের আমবাগানের প্রায় সব গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার হরিপুর গ্রামের আবদুস সামাদের আমবাগানের প্রায় সব গাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চাঁচাহার গ্রামে গতকাল সোমবার সকালে একটি বাগানের ৭০০ আমগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাগানমালিক চাঁচাহার গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে হরিপুর গ্রামের হোসেন উদ্দীন ও তাঁর ছেলে নুরুজ্জামানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাপাহার থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিয়াড়া ইউনিয়নের চাঁচাহার গ্রামের কৃষক আবদুস সামাদ পৈতৃকসূত্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে হরিপুর মৌজার ৩ একর ৩৪ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছেন। হরিপুর গ্রামের হোসেন উদ্দীনের ছেলে নুরুজ্জামান এর মধ্যে ২৫ শতাংশ জমি ক্রয়সূত্রে মালিক বলে দাবি করে আসছেন। এ বিষয়ে তাঁর করা একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। পাঁচ বছর আগে আড়াই বিঘা জমিতে আবদুস সামাদ আমগাছ লাগিয়ে বাগান গড়ে তোলেন। এ বছর গাছগুলোতে আমও ধরেছিল। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হোসেন উদ্দীন ও তাঁর ছেলে নুরুজ্জমানের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক ওই বাগানে ঢুকে ৭০০টি আমগাছ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন।

অভিযোগ পেয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জের ধরে হোসেন উদ্দীন ও তার ছেলে নুরুজ্জামান সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বাগানের আমগাছ কেটে ফেলেছে। এতে আমার ১৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় অনেক লোক এ ঘটনার সাক্ষী।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে নুরুজ্জামান বলেন, ‘ওই জমি নিয়ে আবদুস সামাদের সঙ্গে আমার একটা দ্বন্দ্ব চলছে। এ কারণে গাছ কাটার ঘটনায় তিনি আমার বাবা ও আমাকে সন্দেহ করে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’

ওসি শামসুল আলম জানান, গাছ কাটার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে জড়িত কি না, তা অধিকতর তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।