রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের নেতা হত্যা

রাঙামাটির সদর উপজেলা বন্দুকভাঙায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফের নেতা অনল বিকাশ চাকমাকে (৪২) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে বন্দুকভাঙার মৌনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে এ মাসে রাঙামাটিতে তিনজন রাজনৈতিক কর্মী খুন হলেন।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এ ঘটনার জন্য সম্প্রতি এ দল থেকে বের হয়ে নতুন গঠন করা সংগঠন ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছে। তবে ওই সংগঠনটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইউনিয়নের ধামাইছড়া (ইউপিডিএফ) বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের সংগঠক প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় নব্য মুখোশ বাহিনী প্রতিরোধ কমিটি নতুন গঠিত সংগঠন। তবে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক তা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মৌনপাড়া গ্রামে একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন অনল বিকাশ চাকমা। রাত দেড়টার দিকে আট থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী বাড়িটি ঘিরে ফেলে। পরে বাড়ি থেকে বের করে কিছু দূর নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
‘নব্য মুখোশ বাহিনী প্রতিরোধ কমিটি’র সদস্যসচিব সেন্টু চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, নব্য মুখোশ বাহিনীর সশস্ত্র অস্ত্রধারীরা ইউপিডিএফের ইউনিয়ন সংগঠককে গুলি করে হত্যা করেছে। এর আগেও ইউপিডিএফের এক গ্রাম কমিটির সভাপতিকে হত্যা করে তারা।
নতুন গঠিত ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিটন চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউপিডিএফই অনল বিকাশ চাকমাকে মেরে ফেলেছে। রাতে আমাদের লোক মনে করে এ হত্যার ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় আমাদের সংগঠন দায়ী নয়।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রথম আলোকে বলেন, অনল বিকাশ চাকমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করতে আসেনি।
৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা নানিয়ারচর ইউনিয়নের তোজেংমা দোসরপাড়ায় গ্রাম কমিটির সভাপতি অনাদি রঞ্জন চাকমাকে (৫০) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ দায়ী করে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জুরাছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এঘটনায় আওয়ামী লীগ জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। জনসংহতি সমিতি তা অস্বীকার করেছে।