বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশি নিহত!

lalmonirhat
lalmonirhat

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে মঞ্জুরুল ইসলাম (২০) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার ভোরে উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে ফকিরেরবাড়ি গ্রামে সীমান্তের ওপারে এ ঘটনা ঘটে। মঞ্জুরুল উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের নাটারবাড়ি গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতে ফকিরেরবাড়ি সীমান্তের ৮৩৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী (রাখাল) দলের কয়েকজন সদস্য ভারতের কোচবিহার সীমান্তের খড়খড়িয়া গ্রামে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু আনতে যান। রোববার ভোরে ওই সীমান্ত দিয়ে গরু নিয়ে ফিরছিলেন তাঁরা।

পথে কোচবিহারের ৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের খড়খড়িয়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করেন। এ সময় রাখাল দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও মঞ্জুরুল বিএসএফের টহলদলের হাতে আটক হন। পরে বিএসএফ ঘটনাস্থলেই তাঁকে বেদম মারধর করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে মৃত্যু হয়েছে ভেবে মঞ্জুরুলকে বাংলাদেশ-সীমান্ত লাগোয়া একটি জমিতে ফেলে চলে যায় বিএসএফ। পরে অপর একটি রাখাল দলের সদস্যরা মঞ্জুরুলকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। পরিবারের লোকজন মঞ্জুরুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মঞ্জুরুলের মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য আঘাত ও নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বিএসএফের নির্যাতনে এ অবস্থা হয়েছে।’

রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী বিজিবি সদর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওবাইদুল হক মুঠোফোনে আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে এ নিয়ে কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে হয়েছে। বিজিবি এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু বিএসএফের কমান্ডার এসি সুবাস বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই সীমান্তে কাউকে আটক বা নির্যাতনের এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।