বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে আবার বসল হকার

বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে হকার। গতকাল সন্ধ্যায় সায়াম প্লাজার সামনে  প্রথম আলো
বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে হকার। গতকাল সন্ধ্যায় সায়াম প্লাজার সামনে প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ নগরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে আবার হকার বসতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাষাঢ়া, কালীরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হকার বসতে দেখা যায়।

বিকেল থেকে সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া, পানোরামা প্লাজা, লুৎফা টাওয়ার, সায়াম প্লাজা, মুক্তি জেনারেল হাসপাতাল, সাধু পৌলের গির্জা, খাজা মার্কেট, কালীবাজার মোড়, ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় ফুটপাতে হকার বসছে। হকাররা ফুটপাতে বিভিন্ন পণ্যের (জুতা, শীতের কাপড়, টুপি, খাবার দোকান, চুড়ি ইত্যাদি) পসরা নিয়ে বসেছে। পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। তেমন কোনো পুলিশি তৎপরতা নেই। সময় যত গড়াচ্ছে, হকারদের তৎপরতা বাড়ছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সড়ক-সংলগ্ন বিভিন্ন গলিতে হকারদের পণ্য নিয়ে বসতে দেখা গেছে।

তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নগরের চাষাঢ়া থেকে খানপুর পর্যন্ত নবাব সলিমুল্লাহ সড়ক, খানপুর ৩০০ শয্যার নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের সামনের সড়ক, নবাব সিরাজদ্দৌলা সড়ক ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়কে (চেম্বার) বিকেল থেকে হকার বসার কথা। সেসব সড়কের ফুটপাতে তেমন কোনো হকার দেখা যায়নি।

জামতলা এলাকার বাসিন্দা লোকমান আহম্মেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত আবার হকারদের দখলে চলে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন এই সড়কের ফুটপাতে হকার দেখা না গেলেও আজ (গতকাল) বিপুলসংখ্যক হকার বসতে দেখা গেছে। পরে তারা স্থায়ীভাবে অবস্থান নিতে শুরু করবে। দেওভোগ পাক্কারোড এলাকার বাসিন্দা হাসানুল রাকি বলেন, কয়েক দিন ধরে হকাররা ফুটপাতে বসার চেষ্টা করছেন। হকারদের ফুটপাত দখলের প্রক্রিয়া এটা।

হকার আমজাদ হোসেন, জাহিদ হোসেন ও মামুন বলেন, পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে তাঁরা ফুটপাতে বসেছেন। পুলিশ এলে তাঁরা মালামাল নিয়ে সরে যান।

নারায়ণগঞ্জ হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যারা বসেছে তারা নিজ দায়িত্বে বসেছে। আমরা সমঝোতার অপেক্ষায় আছি।’

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সড়কে কোনো হকারকে বসতে দেওয়া হবে না। যেসব হকার বসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৬ জানুয়ারি ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মেয়র আইভী ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হকার ও সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থকেরা হামলা চালান। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বঙ্গবন্ধু সড়ক বাদ দিয়ে নগরের চারটি সড়কের ফুটপাতে হকারদের বসার সাময়িক অনুমতি দেয়।