ছিল গণিত পরীক্ষা, এল অন্য প্রশ্ন

ছিল গণিত পরীক্ষা। প্যাকেট খুলে দেখা গেল অন্য বিষয়ের প্রশ্ন। শিক্ষকদের মাথায় হাত। ওই কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ দ্রুত অন্য আরেকটি কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন নিয়ে ফটোকপি করে এই কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনা করে।

আজ শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বানিগ্রাম সাধনপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুর রহমান মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাধনপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ১৫টি কক্ষে ৮২৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ৩০০ পরীক্ষার্থী এই প্রশ্নপত্র-সংকটে পড়ে। ফলে পাঁচটি কক্ষের পরীক্ষার্থীর দুজনকে ২০ মিনিট একটি প্রশ্নপত্র দেখে খাতায় লিখতে হয়েছে। এরপর অন্য কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র এনে এ সমস্যার সমাধান করা হয়।

বানীগ্রাম সাধনপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে ১০টায় শুরু হয় ৩০ মিনিটের নৈর্ব্যক্তিক অংশের পরীক্ষা। নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের কোনো ঘাটতি ছিল না। এ পরীক্ষা চলার সময় সংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন, ৭০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের সিলগালা করা সাতটি প্যাকেটের মধ্যে দুটিতে গণিতের পরিবর্তে ভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র আছে।
পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়া বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলে, গণিতের সৃজনশীল অংশের আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষায় ২০ মিনিটের মতো প্রতি দুজনকে একটি প্রশ্নপত্র দিয়ে খাতায় লিখতে দেওয়া হয়েছে। ২০ মিনিট পর সবাইকে প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। তাদের পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

বানীগ্রাম সাধনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এই কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ঋষিকেশ ভট্টাচার্য এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, গণিতের পরিবর্তে অন্য বিষয়ের প্রশ্ন পাওয়া গিয়েছিল। অন্য কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র এনে এই সমস্যার সমাধান করা হয়।

ইউএনও বলেন, প্রশ্নপত্রগুলো সাধারণত থানায় সিলগালা করা অবস্থায় সংরক্ষিত থাকে। নির্দিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষার দিন সিলগালা করা প্রশ্নপত্রগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
ইউএনও বলেন, ‘দুটি প্যাকেটে ভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র থাকার বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে অবগত করে কর্তৃপক্ষ।’ তিনি আরও বলেন, যে বিষয়ের প্রশ্ন এসেছে, তার পরীক্ষা এখনো হয়নি। প্রশ্নগুলো এখন থানায় সংরক্ষণ করা আছে।