তিন জোটের ৫৪ জন প্রার্থী ১৮ পদে

শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। ভোটাররাও ঠিক করে ফেলেছেন ভোট দেবেন কাকে। কাল সোমবার দিনশেষে জানা যাবে কে জিতলেন আর কে হারলেন। ওই দিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সমিতির মিলনায়তনে।
নির্বাচনে তিনটি জোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এগুলো হচ্ছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ, একই চেতনার দুর্নীতিবিরোধী প্রগতিশীল সংগঠন সমমনা এবং বিএনপি-জামায়াত-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। তিন জোটের ৫৪ জন প্রার্থী লড়ছেন ১৮টি পদে। দুই হাজার ৮৫৪ জন ভোটার তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
তিন জোটের প্রার্থীরা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। জোটের পরিচয় ছাড়াও ব্যক্তিগত সততা ও ভাবমূর্তি তুলে ধরে সমর্থন আদায়ের জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন সব প্রার্থী। সাধারণ আইনজীবী ভোটাররা মনে করেন, তিনটি জোটের মধ্যেই লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির কারণে প্রতিপক্ষ জোটের অনেক সমর্থকের ভোটও পাবেন বলে আশা করছেন কোনো কোনো প্রার্থী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রার্থীরা দল বেঁধে ভোটারদের কাছে গিয়ে দোয়া চাচ্ছেন। সঙ্গে ভোটও। অনেককে দেখা গেছে আদালত চলাকালে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন ভোটারের অপেক্ষায়। শুনানিশেষে আদালতকক্ষ থেকে বের হওয়ামাত্র জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময় ও ভোট প্রার্থনা করছেন। অনেকে আইনজীবীদের চেম্বারে এবং বাসায় গিয়েও ভোট চাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনটি জোটের প্রার্থীরাই। কোন জোটের কোন প্রার্থী: নির্বাচনে সভাপতি পদে সমমনার আখতার কবির চৌধুরী, ঐক্য পরিষদের কফিল উদ্দিন চৌধুরী ও সমন্বয়ের আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে ঐক্য পরিষদের আবদুল মোতালেব, সমমনার রুহুল আমিন, সমন্বয়ের সুধীর চন্দ্র তালুকদার এবং সহসভাপতি পদে ঐক্য পরিষদের আফাজুর রহমান, সমন্বয়ের সুরত জামাল ও সমমনার শেখ মুহাম্মদ রেজাউল করিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন সমন্বয়ের আবদুর রশিদ, সমমনার এস এম জাহেদ এবং ঐক্য পরিষদের এস ইউ এম নুরুল ইসলাম।
সহসাধারণ সম্পাদক পদে সমন্বয়ের মিলি চৌধুরী, ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ আশরাফ হোসাইন চৌধুরী, সমমনার মোহাম্মদ ইলিয়াছ কাজলিল চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক পদে সমন্বয়ের যীশু কান্তি দাশ, ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ আবছার উর রশীদ ও সমমনার মোহাম্মদ আবু মুছা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে সমমনার মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম, ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হাশেমী, সমন্বয়ের টিপু সুলতান খান এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রয়েছেন সমন্বয়ের মাজেদা জামাল, সমমনার এহতেশাম পারভেজ সিদ্দিকী এবং ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ তারেক আবদুল্লাহ লড়াই করছেন।
নির্বাহী সদস্যের ১০ টি পদে লড়ছেন ৩০ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন ঐক্য পরিষদের ফাতেমা আক্তার চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, নুরুল করিম, রায়হান সালেহীন, মোহাম্মদ আবু বক্কর, আরেফীন রিজভী, রহীম উদ্দিন চৌধুরী, মুরশিদ আলম, শহিদুল ইসলাম ও শেখ জোবায়ের মাহমুদ।
সমমনা থেকে আবু সুফিয়ান, আশীষ কুমার শীল, সুসেন কান্তি দাশ, শেখ এ আহমেদ আদনান, সাজেদা বেগম, রহিমা বেগম, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ সিরাজদ্দৌলা, ফোরকান উদ্দিন ও মোজাম্মেল আলী চৌধুরী।
সমন্বয় থেকে সুচিত্রা লালা, শামসুদ্দিন মাহমুদ, সুবিতা রানী ভৌমিক, রহিমুন্নেছা, পিপলু কান্তি দাশ, মোহাম্মদ মহসিন, আরশাদুল ইসলাম, লিয়াকত হোসাইন চৌধুরী, মানস দাশ ও জামাল হোসাইন ।